হরিয়ানায় মোদী বিরোধী সভা চৌতালার! হাজির শরদ-সীতারাম-সহ ৫ নেতা
বিরোধী শিবির (Opposition Alliance) থেকে তেমন একটা সাড়া পেলেন না হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোকদলের সুপ্রিম ওমপ্রকাশ চৌতালা (Om Prakash Choutala)। আজ হরিয়ানার ফতেহাবাদের সভায় হাজির ছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ও উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব, এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার, সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি এবং শিরোমণি অকালি দলের সুখবীর সিং বাদল।
চৌতালা কংগ্রেসকে এই সভায় আমন্ত্রণ জানাননি। কিন্তু নীতীশ-সহ বেশিরভাগ নেতাই কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে ২০২৪-এ গদিচ্যুত করার সংকল্পের কথা শোনান। তবে আমন্ত্রিত নেতাদের কংগ্রেস বন্দনা নয়, চৌতালার অস্বস্তি বাড়িয়েছে বহু নেতার অনুপস্থিতি। চৌতালা তাঁর প্রয়াত পিতা, দেশের প্রাক্তন উপ প্রধানমন্ত্রী দেবীলালের জন্মশতবর্ষ উদযাপনের সভায় ১০ রাজ্যের ১৩ জন নেতাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এই তালিকায় অবিজেপি এবং অকংগ্রেসি সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা ছিলেন। ছিলেন প্রথমসারির নেতারাও। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বেশিরভাগ নেতাই যাননি। তবে তৃণমূল-সহ কোনও কোনও দল প্রতিনিধি পাঠিয়েছিল বলে খবর।
হরিয়ানার আজকের সভাকে রাজনৈতিক মহল বিরোধী মহাজোট গঠনের প্রাথমিক মঞ্চ হিসাবে দেখছিল। যদিও চৌতালাকে নীতীশ কুমার-সহ একাধিক নেতা কংগ্রেসকে ডাকার পরামর্শ দিলেও তিনি রাজি হননি। তবে সভার সুর বেঁধে দেন নীতীশ কুমার। বিহারের মুখ্যমন্ত্রীই ছিলেন সভার প্রধান বক্তা। তিনি খোলাখুলি বলেন, বিরোধীদের মধ্যে ভেদাভেদ রেখে জোট বা বোঝাপড়া সম্ভব নয়। কংগ্রেস-সহ সব দলকে হাতে হাত রাখতে হবে।
একই কথা বলেন পাওয়ার এবং সীতারামও। তাঁদের বক্তব্য, এখনই শুরু করতে হবে বোঝাপড়া গড়ে তোলার কাজ।
হরিয়ানার সভা শেষে নীতীশ ও তেজস্বী দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যান। আজ সন্ধ্যায় তাঁর সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করার কথা। বৈঠকে লালুপ্রসাদ যাদব ও তেজস্বীও থাকবেন।
নীতীশ সপ্তাহ তিনেক আগে একবার দিল্লি ঘুরে গিয়েছেন। তখন রাহুল গান্ধীর সঙ্গে তাঁর বিস্তারিত কথা হয়। সনিয়া ছিলেন দেশের বাইরে। আজ রবিবার ছুটির দিনে ওই সান্ধ্য বৈঠকই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি।
খবর দ্য ওয়ালের/এনবিএস/২০২২/একে
![news](https://www.nbs24.org/walton-ads-april.gif)