আল কায়দা জঙ্গি সন্দেহে কাশ্মীর থেকে গ্রেপ্তার বাংলার যুবক

আল কায়দা জঙ্গি সন্দেহে কাশ্মীর থেকে গ্রেপ্তার পশ্চিমবঙ্গের যুবক। উপত্যকার রামবান এলাকা থেকে জঙ্গিযোগের অভিযোগে তাকে পাকড়াও করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম আমিরুদ্দিন খান। তার বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal)। রবিবার রাতে কাশ্মীরের রামবান জেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ওই যুবককে। তাকে জেরা করা হচ্ছে। বলে রাখা ভাল, গত মে মাসে আল কায়দা প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরির একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। ৪৭ মিনিটের ওই ভিডিওয় কাশ্মীর নিয়ে রীতিমতো প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হয়েছে। উপত্যকার সঙ্গে তুলনা টানা হয়েছে প্যালেস্টাইনেরও। ভিডিওর শুরুতেই দেখা গিয়েছে কাশ্মীরের ভারতবিরোধী আন্দোলন ও পাথর ছোঁড়ার ফুটেজ। এই ধরনের ফুটেজের পরে বেশ কয়েকবার দেখা গিয়েছে জাওয়াহিরির মুখ। কস্মিতরের বিশেষ ধরা রদ নিয়ে জাওয়াহিরিকে ভিডিওয় বলতে শোনা গিয়েছে, ”যখন ভারতের হিন্দু সরকার কাশ্মীর দখলের কুখ্যাত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সেটা ছিল মুসলিমদের জমির সরকারের মুখের উপরে চড়।” এভাবেই তাকে উসকানিমূলক বহু কথা বলতে শোনা গিয়েছে ভিডিও জুড়ে।

আল কায়দার (Al Qaeda) হুমকির পর থেকেই উপত্যকায় নিরাপত্তা বাড়িয়ে তোলা হয়েছিল। একের পর এক জঙ্গিবিরোধী অভিযানও চালাচ্ছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, গতকাল রবিবার আল কায়দা জঙ্গি সন্দেহে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরের বাসিন্দা মনউদ্দিন খান ওরফে মনিরুদ্দিন নামের এক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। এসটিএফের দাবি, ভারতীয় আল কায়দার জঙ্গি সন্দেহে ধৃত পেশায় শিক্ষক আজিজুল হককে জেরা করেই উঠে আসে মনউদ্দিনের নাম।

বাংলাদেশে ব্লগার খুনের অভিযুক্ত ফয়জলকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা-সহ সারা দেশজুড়ে আল কায়দার নেটওয়ার্ক সম্পর্কে তথ‌্য পান লালবাজারের গোয়েন্দারা। তাকে জেরা করে উত্তরপ্রদেশ থেকে গ্রেপ্তার হয় হাসনত। যার মালদহের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় একটি পেন ড্রাইভ। আল কায়দা যে দেশের বেশ কয়েকজন ভিআইপিকে খুন ও কয়েকটি শহরে বিস্ফোরণের ছক কষেছে, সেই প্রমাণ মিলেছে ওই পেন ড্রাইভ থেকে। এই ব‌্যাপারে ভোপালের জেল থেকে আরও দুই জঙ্গিকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। এহেন পরিস্থিতিতে কাশ্মীরেও আল কায়দা জঙ্গির গ্রেপ্তারি নিরাপত্তা মহলের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
সংবাদ প্রতিদিন /এনবিএস/২০২২/একে

news