পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ পুলিশ, গ্রেফতার ৪১
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাটের শাঁকচুড়া বাজারে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে এক পুলিশ সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরোধীরা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে।
সোমবার দিবাগত রাত দশটা নাগাদ ওই সংঘর্ষের ঘটনায় অনন্তপুর পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল প্রভাস সর্দার (৪২) গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। প্রভাসের বাম কাঁধে গুলি লেগেছে। এ সময়ে পুলিশও শূন্যে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। এ নিয়ে এলাকায় যথেষ্ট উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত ওই পুলিশকর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বসিরহাটের এসপিসহ পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
এ নিয়ে মঙ্গলবার সকালে সংশ্লিষ্ট এলাকায় জমায়েত করে বিক্ষোভ দেখালে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। সংঘর্ষের ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল নেতা সিরাজুল ইসলাম বেশেসহ ৪১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিরাজুল বসিরহাট-১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি নজরুল হকের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। এ নিয়ে আজ (মঙ্গলবার) রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরী এমপি বলেন, ‘তৃণমূল আশ্রিত গুণ্ডাদের হিম্মৎ, তাদের ক্ষমতা কতটা যে তারা পুলিশকে নির্দ্বিধায় গুলি করতে পারে! এর আগে পুলিশ কর্মী খুন হয়েছে। পুলিশকে মারতে মারতে থানার মধ্যে বেঞ্চের তলায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন এমপি সাফাইতে বলেছেন, ‘যে ঘটনা ঘটেছে দল তা দলগতভাবে দেখবে। কয়েক ঘটনার মধ্যে প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে দোষীদের গ্রেফতার করেছে। সেখান শাসক দলের যোগ থাকা সত্ত্বেও তারা তাদের রেয়াত করেনি। এটা বিজেপিশাসিত রাজ্যে দেখা যাবে না।’
অন্যদিকে, বিজেপির জাতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ এমপি আজ বলেন, ‘পুলিশের এখন বড় কাজ হচ্ছে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব মেটানো। টাকা পয়সা তুলে দেওয়া, সংগঠনের কাজ করা, ভোটে জেতানো। এখন তৃণমূলের যে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে এবং গুলিগোলা চলছে সেটা পুলিশকে গিয়ে মেটাতে হচ্ছে এবং পুলিশকে গুলি খেতে হচ্ছে।’ ‘সমস্ত সমাজবিরোধীদের নিয়ে তৃণমূল দল আছে। এরফলে গণ্ডগোল, মারপিট হবেই। জানি না আরও কতজনকে শহীদ হতে হবে’ বলেও মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ এমপি।
![news](https://www.nbs24.org/walton-ads-april.gif)