দল তুলে দেব বললে রসগোল্লা খাওয়াব না! নাম না করে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে হুঁশিয়ারি কুণালের

 দল হিসাবে তৃণমূল কংগ্রেসের মান্যতা প্রত্যাহার করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। তার পালটা দিলেন রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। নাম না করে বিচারপতিকে তীব্র কটাক্ষের পাশাপাশি তিনি বললেন, “দল তুলে দেব বললে রসগোল্লা খাওয়াব না।”

নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নিয়ে তোলপাড় বাংলা। শুক্রবার সকালে কলকাতা হাই কোর্টে হাজিরা দেন শিক্ষাসচিব মণীশ জৈন। সওয়াল জবাব শেষে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “বিধানসভার দলনেতা মুখ্যমন্ত্রী আর লোকসভার দলনেতা প্রধানমন্ত্রী। আমি ইলেকশন কমিশনকে বলব তৃণমূলের লোগো প্রত্যাহার করার জন্য।” দল হিসাবে তৃণমূল কংগ্রেসের মান্যতা প্রত্যাহার করার হুঁশিয়ারিও দেন। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “আমি মুখ্যমন্ত্রীর যন্ত্রণা বুঝতে পারি। কিছু দালাল যাঁরা মুখপাত্র বলে পরিচিত, তাঁরা আদালতের নামে যা ইচ্ছা বলছে। নিয়োগ হলেই নাকি আদালতে গিয়ে স্থগিতাদেশ নিয়ে আসা হচ্ছে।”

সাংবাদিক বৈঠক থেকে এই বিষয়েই মুখ খুলেছেন রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “উনি নাম বলেননি। তবে তৃণমূলের অনেক মুখপাত্রের মধ্যে আমিও একজন। তাই আমি বলছি। তবে আমিও কারও নাম নেব না। উনি তো নিজেকে অরণ্যদেব ভাবছেন। অরণ্যদেব গঙ্গোপাধ্যায় বলছেন, দল তুলে দেব। একজন বিচারপতি কীভাবে এই কথা বলতে পারেন।” কুণাল ঘোষের কথায়, “কেউ যদি বলেন দল তুলে দেব, তাঁকে কী রসগোল্লা খাওয়াব? যান আপনার যা করার করে নিন।” এদিন নাম না করে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে রীতিমতো তুলোধোনা করেন কুণাল ঘোষ। তিনি আরও বলেন, “কার পিছনে ঘুরতেন জুনিয়র হিসেবে, সবটাই জানা আছে। আপনাকে বলছি, এই শব্দ ব্যবহার করছেন, চেয়ারের অপব্যবহার করবেন না। বিচারকের চেয়ারে বসে রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করা বন্ধ করুন।”

এদিন ত্রিপুরার পরিস্থিতি তুলে ধরে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। বলেন, “ত্রিপুরায় কেন এত মানুষের চাকরি গেল? কার সরকার ছিল ওখানে। বাংলায় একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে। জট খোলার চেষ্টা চলছে। বারবার বলা হচ্ছে ভুল হলে শাস্তি হবেই। সরকার সব রকম চেষ্টা করছে। মুখ্যমন্ত্রীও যথাযথ পদক্ষেপ করছেন। তারপরও বিচারপতি দল তুলে দেওয়ার কথা বলছেন, এটা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না।
 সংবাদ প্রতিদিন/ এনবিএস/২০২২/একে

news