মেয়ের জন্মদিনে দেরিতে ফেরা নিয়ে অশান্তি, লাভপুরে স্বামীকে শিক্ষা দিতে এ কী করলেন বধূ!

মেয়ের জন্মদিনের রাতে পারিবারিক অশান্তি। আর তার জেরেই দুই খুদে সন্তানকে নিয়ে গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মঘাতী মা। শনিবার রাতে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের লাভপুর থানার বিষয়পুর গ্রামে বায়েন পাড়ায়। যদিও মৃতার বাবার অভিযোগ, জামাই তাঁর মেয়ে ও দুই নাতনিকে খুন করেছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করেছে লাভপুল থানার পুলিশ।

সুকুমার ধীবর ও আহ্লাদী ধীবরের বিয়ে হয়েছিল আট বছর আগে। তাঁদের দুই কন্যাসন্তান। বড় মেয়ে পিউ ধীবরের ছ’বছরের জন্মদিন ছিল শনিবার। মেয়ে চেয়েছিল, বাবা তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরুক। সুকুমার পেশায় গাড়িচালক। তিনি বোলপুরে থাকেন। মেয়ের আবদার রাখতে পারেননি তিনি। বাড়ি ফিরতে রাত হয়েছিল তাঁর। যার জেরে অভিমান হয়েছিল মেয়ের। এদিকে মেয়েকে কেন মিষ্টি না দিয়ে শুধু লুচি-মিষ্টি দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন সুকুমার।

দেরি করে ফেরা ও মিষ্টি না দেওয়া, এই দুই কারণে আহ্লাদী ও সুকুমারের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। অভিযোগ, মেয়েদের খাইয়ে পিউ ও সাড়ে তিন বছরের ছোট মেয়ে মৌসুমী নিয়ে ঘরে ঢুকে দরজা আটকে দেন আহ্লাদী। সেখানেই গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন তিনি। লাভপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তিনজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।

প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, আহ্লাদী ও সুকুমারের মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত। সাংসারিক বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হত। শনিবার রাতেও দুজনের মধ্য়ে অশান্তি হয়েছিল। এদিকে আহ্লাদী বাবা আশিস ধীবরের দাবি, মেয়ে ও দুই নাতনিকে গায়ে আগুন লাগিয়ে মেরে ফেলেছে জামাই। ঘরে আগুন দিয়ে দরজা বন্ধ করে পালিয়ে গিয়েছিল অভিযুক্ত, এমনটাই দাবি আহ্লাদীর পরিবারের। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সুকুমারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে।


সংবাদি প্রতিদিন/এনবিএস/২০২২/একে

news