প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার সংশোধিত ফল প্রকাশ

কারিগরি ত্রুটির কারণে স্থগিত হওয়া ২০২২ সালের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফল পুনরায় প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।

বুধবার (১ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ফল প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কারগরি ত্রুটির কারণে আগের ফলাফল স্থগিত করা হয়। এরপর পুনঃযাচাই করে বৃত্তির ফলাফল প্রকাশ করা হলো। www.dpe.gov.bd  এই ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে বৃত্তির ফলাফল। এতে ৮২ হাজার ৩৮৩ শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছে। এর মধ‍্যে ট‍্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে ৩৩ হাজার শিক্ষার্থী এবং সাধারণ কোটায় ৪৯ হাজার ৩৮৩ জন। এই শিক্ষার্থীরা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বৃত্তি পাবে।

 এর আগে গত মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বৃত্তি পরীক্ষার ফল ঘোষণা করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। সেই ফলাফলে কিছু ত্রুটি আসায় সেদিন সন্ধ্যায় বৃত্তির ফল স্থগিত করা হয়।

মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বৃত্তি পরীক্ষার ফল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd   স্থানীয়ভাবে বিভাগীয় উপপরিচালকের কার্যালয়, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় এবং উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় থেকে পাওয়া যাবে।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ২০২০ ও ২০২১ সালে করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা না হওয়ায় প্রাথমিক বৃত্তি দেয়া সম্ভব হয়নি। ২০২২ সালের ২৮ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তমন্ত্রণালয় সভায় ২০২২ সাল থেকে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। গত ৩০ ডিসেম্বর একযোগে সারা দেশে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

এবারের বৃত্তি পরীক্ষায় ৫ লাখ ৩৯২ জন নিবন্ধন করে অংশ নেয় ৪ লাখ ৮২ হাজার ৯০৪ জন। উপজেলা/থানার প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যার অনুপাতে উপজেলা/থানা কোটা নির্ধারণ করে ট্যালেন্টপুল বৃত্তি বণ্টন করা হয়। সাধারণ বৃত্তি ইউনিয়ন ও পৌরসভা ওয়ার্ডভিত্তিক বিতরণ করা হয়।

এদিকে, বৃত্তির সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি বৃত্তির অর্থের পরিমাণও ২০১৫ সাল থেকে বাড়ানো হয়। আগে ট্যালেন্টপুল বৃত্তি পাওয়াদের মাসে ২০০ টাকা করে দেয়া হলেও ২০১৫ সাল থেকে ৩০০ টাকা এবং সাধারণ গ্রেডে ১৫০ টাকার পরিবর্তে ২২৫ টাকা করে দেয়া হচ্ছে। এছাড়া উভয় ধরনের বৃত্তিপ্রাপ্তদের প্রতিবছর ২২৫ টাকা করে এককালীন দেয়া হচ্ছে।

এনবিএস/ওডে/সি

news