অনুমতি ছাড়া রোববার অনুপস্থিত শিক্ষকদের তালিকা চেয়েছে শিক্ষা বিভাগ

কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়েই রোববার (২৩ জুলাই) নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকা প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষকদের নামের তালিকা চেয়েছে শিক্ষা বিভাগ।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ঢাকা অঞ্চলের কার্যালয়ের পক্ষ থেকে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে সোমবারের (২৪ জুলাই) মধ্যে এই তালিকা দিতে বলা হয়েছে। আর এই চিঠিতে সই করেছেন মাউশির ঢাকা অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক এ এস এম আবদুল খালেক। 

তিনি বলেন, মাউশির পক্ষ থেকে এক চিঠির মাধ্যমে এই তালিকা চাওয়া হয়েছে। এটা নতুন কিছু নয়। মাঝেমধ্যেই এমন তালিকা চাওয়া হয়ে থাকে।

এমন এক সময়ে এই তালিকা চাওয়া হয়েছে, যখন মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ১১ জুলাই থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে।
এর আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল করে ক্লাস শুরুর নির্দেশ দেয় শিক্ষা বিভাগ। তবে দাবি আদায়ের বিষয়ে সুস্পষ্ট আশ্বাস না পাওয়ায় লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যান আন্দোলনরত শিক্ষকেরা। এই পরিস্থিতিতে আগে থেকে অনুমতি না নিয়ে যারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন, তাদের ব্যাপারে কঠোর হয়েছে  শিক্ষা বিভাগ।

 উল্লেখ্য, এর আগে ১৮ জুলাই মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষকদের অনিয়মিত উপস্থিতির কারণে শিক্ষার সামগ্রিক পরিবেশ ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মাউশি। যাতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন, করোনায় সৃষ্টি শিখন ঘাটতি পূরণ ও শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য অধিদপ্তর থেকে পাঁচটি নির্দেশনা দেওয়া হয়। 

পাঁচ নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি সক্রিয় তদারকি করবে, শিক্ষকদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিতে প্রতিষ্ঠান প্রধান কার্যকর ভূমিকা নেবেন, কোভিড-১৯ অভিমারির কারণে শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি পূরণে গৃহীত বিশেষ ব্যবস্থা কার্যকর রাখা, সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে কোনরূপ মিথ্যা ও উষ্কানিমূলক প্রচারণায় অংশগ্রহণ না করা এবং শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে নিরবছিন্ন প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news