পরমানু কেন্দ্রের পর্যবেক্ষণ ক্যামেরা পুণরায় চালু করতে সম্মত ইরান

জাতিসংঘ পারমানবিক জ্বালানী সংস্থার প্রধান রাফায়েল বলেছেন যে, ইরাণ পরমানু কেন্দ্রগুলোতে ক্যামেরা ও পর্যবেক্ষণের অন্যান্য সরঞ্জাম পুণরায় স্থাপন এবং পরিদর্শকদের আরো ঘন ঘন প্রবেশের সুযোগ দিতে সম্মত হয়েছে। শনিবার তেহরানে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম রইসির সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি একথা বলেন। বৈঠকে সংস্থার পদস্থ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

ইরানের একটি ভূগর্ভস্থ স্থাপনায় প্রায় ওয়েপেন-গ্রেড বা অস্ত্র তৈরির কাছাকাছি পর্যায়ের সম্মৃদ্ধ ইউরেনিয়াম কণা পাওয়া যাওয়ার পর সংস্থার প্রতিনিধিদল তেহরান সফর করলেন। ৩৫ জাতি আন্তর্জাতিক আনবিক জ্বালানী সংস্থার (আইএইএ) গভর্নর বোর্ডের কোয়ার্টারলি মিটিংয়ের মাত্র দু’দিন আগে তারা এ সফর করলেন। ভিয়েনা ফিরে এসে গ্রোসি সাংবাদিকদেরকে বলেন, “গত কয়েক মাস ধরে ক্যামেরা ও অন্যান্য সরঞ্জামের সাথে সংশ্লিষ্ট পর্যবেক্ষণ কাজের অনেকগুলোর তৎপরতা হ্রাস পেয়েছিল। ওগুলো কাজ করছিল না।” তিনি বলেন, সেগুলো পুণরায় চালু ও কার্যকর করার ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি।”

কি কি সরঞ্জাম পুণরায় চালু করা হবে এবং কত তাড়াতাড়ি তা করা হবে সে ব্যাপারে অবশ্য তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি। তবে তিনি সম্ভবত ২০২২ সালের জুন মাসে ইরানে নজরদারি ক্যামেরা সরিয়ে ফেলার কথাটি এখানে উল্লেখ করেছেন। এ নিয়ে ইরান ও আইএইএ’র মধ্যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। তেহরান থেকে আশ্বাস পাওয়ার পর গ্রোসি বলেন, “এগুলো নিছক কথা নয়। সুস্পষ্ট ও নিটুট।”

গ্রোসির সফরের পর ইরান ও আইএইএ যৌথ বিবৃতিতে জানায়, “বিদ্যমান সুরক্ষার বিষয়গুলো নিস্পত্তি করতে আরো তথ্য প্রদান ও প্রবেশের সুযোগ দিতে প্রস্তত থাকার কথা আগ্রহ ব্যক্ত করেছে তেহরান।” এ বিবৃতিতে বিস্তারিত আর কিছু নেই। তবে দু’পক্ষের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা এতে প্রকাশ পেয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ইরানকে সহয়োগিতা করার আহ্বান জানিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর আরেকটি প্রস্তাব আনার উদ্যোগকে এড়ানো সম্ভব হতে পারে। কূটনীতিকদের বরাত দিয়ে রয়টার্স এ খবর জানায়।

সদস্য দেশগুলোকে দেয়া আইএইএর এক গোপন রিপোর্ট যা রয়টার্স হাতে পেয়েছে, এতে বলা হয়, গ্রোস যৌথ বিবৃতির ত্বরিৎ পূর্ণ বাস্তবায়নের অপেক্ষায় রয়েছেন।

গ্রোস বলেন, ইরান স্থান ও লোকজনের তথ্য প্রদান করবে বলে মনে করা হচ্ছে। বহু বছর যাবত ইরান বিষয়টি বাস্তবায়নে বাধা দিয়ে আসছিল।

ইরান অতিরিক্ত পর্যবেক্ষণ সরঞ্জাম পুণস্থাপনেরও সুযোগ দেবে। ২০১৫ সালের চুক্তির আওতায় যা স্থাপন করা হয়েছিল। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২০১৮ সালে একতরফাভাবে পরমাণু চুক্তি থেকে সরে গেলে গত বছর ইরান এ গুলো অপসারণ করে।

গ্রোস বলেন, এ ব্যাপারে বিস্তারিত নিস্পত্তি করতে শিগগিরই আইএইএ ও ইরানী কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

এনবিএস/ওডে/সি

news