ভারতে ফসলের কম দাম, ক্ষতিপূরণ দাবিতে কৃষকদের পদযাত্রা

ভারতের কৃষকরা আবারও আন্দোলনে নেমেছেন। তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম না পাওয়ায় মহারাষ্ট্র থেকে হাজার হাজার কৃষক মুম্বাইয়ের দিকে পদযাত্রা শুরু করেছেন। এ বছর পেঁয়াজ চাষ করে কৃষকরা বিপুল ক্ষতির শিকার হয়েছেন। কৃষকরা এ ক্ষতিপূরণে সরকারের কাছে অনুদান করছেন।

সোমবার নাসিক শহর থেকে শুরু হওয়া প্রতিবাদ পদযাত্রা বা মিছিল বুধবার সন্ধ্যায় পৌঁছেছে থানে জেলার কাসওয়া ঘাটে। ইতোমধ্যেই এই মিছিলে প্রায় ২০ হাজার কৃষক যোগ দিয়েছেন। মিছিল যত মুম্বাইয়ের দিকে এগোবে, ততই বহরে কৃষকের সংখ্যা বাড়তে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। কৃষকদের এই মিছিলটি সংগঠিত করছে সিপিআইএম দলের কৃষক সংগঠন সারা ভারত কৃষক সভা।

মিছিলে হাঁটার পথে সারা ভারত কৃষক সভার রাজ্য সভাপতি উমেশ দেশমুখ বলেন, 'সরকারের কাছে আমাদের দাবিগুলো খুব স্পষ্ট। এ বছর পেঁয়াজ চাষ করে উত্তর মহারাষ্ট্রের হাজার হাজার কৃষক বিপুল পরিমাণ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। কুইন্টাল (একশো কেজি) প্রতি মাত্র ৭০০ টাকা করে পাওয়া যাচ্ছে, যা উৎপাদন খরচের অর্ধেক। সরকার সর্বনিম্ন সংগ্রহ মূল্য ২,০০০ টাকা কুইন্টালপ্রতি নির্দিষ্ট করুক, যার মধ্যে অনুদান হিসাবে দেয়া হোক ৫০০/৬০০ টাকা করে।'

ফসলের ক্ষতি হলে বীমার মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ করা, বিদ্যুতের বিল আর কৃষি ঋণ মওকুফ করাসহ আরও অনেক দাবি নিয়ে কৃষকরা এখন এগোচ্ছেন মুম্বাইয়ের দিকে। ওই মিছিলে যে শুধু পেঁয়াজ-চাষিরা যোগ দিয়েছেন তা নয়। সংগঠকরা বলছেন দুধ উৎপাদনকারী, সয়াবিন, তুলা আর ডাল-চাষিরাও যে ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ছেন, সেগুলোরও সমাধান চান তারা।

মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ বা উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা বলছেন, কোনও অত্যাবশ্যকীয় আনাজ যেমন আলু বা পেঁয়াজের দাম যখন বাজারে খুব বেড়ে যায়, তখন সরকার তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নিতে নামে যাতে সাধারণ মানুষের ওপরে চাপ বেশি না পড়ে। কিন্তু যখন কৃষকরা অত্যধিক কম দামে আনাজ বিক্রি করে দিতে বাধ্য হন, তখন রাজনৈতিক দল বা সরকারের মাথা ব্যথা হয় না, সেগুলো নিয়ে জাতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো প্রাইম টাইম টকশো করে না।

এনবিএস/ওডে/সি

news