ক্রিমিয়ায় ড্রোন হামলায় রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস

রেল গাড়িতে ক্রিমিয়া উপদ্বীপের উত্তরে ক্ষেপণাস্ত্র বহনের সময় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়টি জানিয়েছে। রাশিয়া ২০১৪ সালে ইউক্রেনে ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখলের পর তা নিজের সঙ্গে  একত্রিত করে নেয়।

দঝানকোই শহরের রাশিয়ার নিযুক্ত প্রধান জানিয়েছেন, এলাকাটিতে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। ইউক্রেন বিস্ফোরণের কথা ঘোষণা করেছে। তবে তারা এতে হামলা চালানোর কথা স্পষ্ট করে বলেনি। যদি এটি সত্য হয়, তাহলে এটি হবে ক্রিমিয়ার অভ্যন্তরে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর এক বিরল হামলার ঘটনা।

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ক্রিমিয়া উপদ্বীপে রাশিয়ার সামরিক শক্তিকে খর্ব এবং দখলমুক্ত করার অব্যাহত প্রক্রিয়া হিসেবে এ (বিস্ফোরণের) ঘটনা ঘটেছে।

কিয়েভ বলেছে, রাশিয়ার কৃষ্ণসাগরীয় নৌ বহরের ব্যবহারের জন্য ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সেখানে নেওয়া হচ্ছিলো।

রাশিয়ার নিযুক্ত ক্রিমিয়ার প্রশাসক ইহর ইভিন বলেছেন, ভূপাতিত ড্রোনের ধারালো খন্ডের আঘাতে আহত ৩৩ বছর বয়সের এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে কোনো সামরিক লক্ষবস্তু এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা তিনি তা জানাননি।

ইভিনের বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম জানায় যে, কয়েকটি ভবনে আগুন ধরে যায় এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়।

রাশিয়া ২০২২ সালের অক্টোবরে ক্রিমিয়ার সেভাস্তোপোল বন্দরে ড্রোন হামলা চালানোর জন্য ইউক্রেনকে দোষারোপ করেছিল। মস্কো বলেছিল, ড্রোন হামলায় তাদের একটি যুদ্ধজাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইউক্রেন অবশ্য তখন এ হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেনি।

এনবিএস/ওডে/সি

news