পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে পিটিআইয়ের মেয়রসহ নিহত ১০

সোমবার অ্যাবোটাবাদের পুলিশ জানিয়েছে, হাভেলিয়ান অঞ্চলে একটি আকস্মিক হামলায় এই নিহতের ঘটনা ঘটে।

ডনের প্রতিবেদনে মৃতের সংখ্যা ১০ বলা হলেও বার্তা সংস্থা ইউপিউর্দুপয়েন্ট জানিয়েছে, হাভেলিয়ান পুলিশ মঙ্গলবার সকালে ১১ জন নিহত হওয়ার এফআইআর নথি লিপিবদ্ধ করেছে। এফআইআরে ১৩ জন হতাহতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

উর্দুপয়েন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত কয়েক দশক থেকেই পারিবারিক কলহ থেকে বাস্তি শের খান ও বাস্তি বুলান খান - একে অপরের লোকজনকে হত্যা করছে। এতে অনেক জীবন অকালে ঝরে গেছে। নিহত মেয়র আতিফ মুনসিফও তাহির জাবিদের পিতার হত্যার জন্য বিচারাধীন রয়েছেন। নিহত মেয়র ও নিহতদের বাস্তি শের খানের তত্ত্বাবধানে দাফন করা হয়েছে। এসময় পিটিআই, জেআই, পিএমএল-এন ও পিপিপি দলের কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।   

ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, হাভেলিয়ানের মেয়র আতিফ মুনসিফ যখন গাড়ি করে যাচ্ছিলেন, তখন তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হলে গুলি লাগে জ্বালনি ট্যাংকে। তাতে গাড়িটি পুড়ে যায়। এ তথ্য জানিয়েছেন, অ্যাবোটাবাদ জেলা পুলিশ কর্মকর্তা (ডিপিও) ওমর  তোফায়েল।

তিনি জানান, পিটিআইয়ের ওই নেতাকে বহনকারী গাড়িটি তখন জেলার হ্যাভেলিয়ান লাঙ্গরা গ্রামে অবস্থান করছিল। এ সময় গাড়ি লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালানো হয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, গাড়িটি পুরোপুরি ছাঁই হয়ে গেছে। আহত দু’জনকে কাছের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

নিহতদের অ্যাবোটাবাদের জেলা সদর হাসপাতালে পোস্টমর্টেমের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ অপরাধীদের গ্রেপ্তারের জন্য তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গাড়িটিতে রকেট হামলা চালানো হয়েছে।

আতিফ মুনসিফ ২০২২ সালে খাইবার পাখতুনখোয়ার স্থানীয় সরকার নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অ্যাবোটাবাদের হাভেলিয়ান তেহশীল থেকে বিজয়ী হন। পরে তিনি পিটিআইতে যোগ দেন।

এনবিএস/ওডে/সি

news