উ. কোরিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ার অভিযোগ দ. কোরিয়ার

বুধবার কোরীয় উপদ্বীপের সাগরের কাছে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের বড় ধরনের যৌথ সামরিক মহড়ার মধ্যেই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ঘটনা ঘটাল দেশটি বলে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে। সিউলের জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়া-মার্কিন গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করছে।

এদিকে পিয়ংইয়ংয়ের ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক হুমকির মুখে সিউল এবং ওয়াশিংটন নিরাপত্তা সহযোগিতা বৃদ্ধি করেছে। গত ১৩ মার্চ থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় যৌথ সামরিক মহড়াও শুরু করে দেশ দুটি। ফ্রিডম শিল্ড নামের এই মহড়া কমপক্ষে ১০ দিন ধরে চলবে বলে জানিয়েছে দুই দেশের সামরিক বাহিনী। দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী বলেছে, তারা যৌথ প্রতিরক্ষা শক্তি প্রদর্শনে পরিকল্পিত এটি সফলভাবে সম্পন্ন করবে। নিউ ইয়র্ক পোষ্ট

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিসাইলগুলো স্থানীয় সময় সকাল ১০ টা ১৫ মিনিটে হামং ইয়ং প্রদেশের দক্ষিণ দিক হতে ছোঁড়া হয় বলে জানিয়েছে সিউলের জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ। তবে কতগুলো ছোঁড়া হয়েছে সে বিষয়ে স্পষ্ট করে জানা যায়নি বলেও জানিয়েছে চিফ অব স্টাফ। এর আগে চলতি বছরে পিয়ংইয়ং পৃথক ১০ টি ঘটনায় ২০টির মত ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে।

চলতি বছর দ্বিতীয় বারের মতো দেশটি বৃহত্তম ও সবচেয়ে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র হোয়াসং-১৭ আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের (আইসিবিএম) পরীক্ষা চালানোর এক সপ্তাহ পর এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করল।
এর আগে, গত মাসে উত্তর কোরিয়া ১২৪০ মাইল দুরপাল্লার একটি ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণ ঘটিয়েছিল। গত বছর উত্তর কোরিয়াকে ‘অপরিবর্তনীয়’ পারমাণবিক শক্তি হিসেবে ঘোষণা করেছেন দেশটির নেতা কিম জং উন।

দক্ষিণ কোরিয়া প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইউল এরইমধ্যে দেশটির  সাইবার কমান্ড পরিদর্শন শেষে  সবরকমের সাইবার হামলা প্রতিরোধে সেনা বাহিনীকে সজাগ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।

গত সোমবার জাতিসংঘে অবস্থিত মার্কিন দূত লিন্ডা থমাস বলেন, দেশটির উচিত এসব অবৈধ আইন বহির্ভূত ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ অবিলম্বে প্রত্যাহার করা

এনবিএস/ওডে/সি

news