ডিএনএ পরীক্ষায় বিটোভেনের লিভারের রোগ সনাক্ত, হোপাটাইটিস বি’তে ভুগছিলেন সুরস্রষ্টা

 চুল থেকে পাওয়া ডিএনএ পরীক্ষায় বহু সুরস্রষ্টা বিটোভেনের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নতুন বিবরণ প্রকাশ করেছেন গবেষকরা। গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন যে বিটোভেন জিনগতভাবে লিভারের রোগে আক্রান্ত ছিলেন এবং মৃত্যুর কয়েক মাস আগে তার হেপাটাইটিস বি’তে আক্রান্ত হন। ফক্স/সিএনএন/কারেন্ট বায়োলজি

লুডভিগ ভ্যান বিটোভেনের চুল নিয়ে জেনেটিক গবেষণায় এসব তথ্য মিলেছে।  ১৮২৭ সালের মার্চ মাসে তুলনামূলকভাবে অল্প বয়সে বিটোভেনের মৃত্যু ঘটে। বুধবার কারেন্ট বায়োলজিতে প্রকাশিত ‘লুডভিগ ভ্যান বিটোভেনের চুলের জিনোমিক বিশ্লেষণ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে গবেষণাটি তার শ্রবণশক্তি হ্রাস বা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যার জন্য প্রাথমিক কারণ খুঁজে পায়নি, তবে এটি তার জীবদ্দশায় অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যাগুলির উপর আলোকপাত করেছে।

গবেষকরা গবেষণায় পরীক্ষিত চুলের আটটি স্ট্র্যান্ডের মধ্যে পাঁচটি ‘নিখুঁত জেনেটিক মিল’ খুঁজে পান। যা প্রায় নিশ্চিতভাবেই খাঁটি বলে মনে করছেন তারা। গবেষণায় বলা হয়েছে, গবেষকরা বিটোভেনের লিভারের রোগের জন্য জেনেটিক প্রবণতা চিহ্নিত করে দেখতে পান এটা তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ভুগিয়েছিল। পরীক্ষায় আরও পাওয়া গেছে যে বিখ্যাত এ সুরকার অন্তত মৃত্যুর কয়েক মাস আগে হেপাটাইটিস বি’তে আক্রান্ত হন। ভারী অ্যালকোহল সেবন বিটোভেনের গুরুতর লিভার রোগের জন্য দায়ী বলে গবেষকরা মনে করছেন।

১৮২৭ সালের ২৬ শে মার্চ, বিটোভেনের মৃত্যুর পরে, বিভিন্ন গবেষক এবং চিকিৎসা পেশাদাররা তার শ্রবণশক্তি হ্রাসের কারণ নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। এ গবেষণার আবেদন জানিয়েছিলেন বিটোভেন নিজেই। বিটোভেন চেয়েছিলেন তার প্রিয় চিকিৎসক, ডাঃ জোহান অ্যাডাম শ্মিড তার রোগ নিয়ে গবেষণা করুক।

গবেষণার প্রধান গবেষক, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জৈবিক নৃবিজ্ঞানী ট্রিস্টান বেগ বলেছেন, বিটোভেনের চুলের আটটি স্ট্র্যান্ড পরীক্ষা করা হয়েছিল। তার অসুস্থতার সম্ভাব্য অন্তর্নিহিত জেনেটিক এবং সংক্রামক কারণ জানতে এটি করা হয়।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এই সুরকার ৫৬ বছর বয়সে দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতায় মারা গিয়েছিলেন। ২০ বছর বয়সে তিনি তার শ্রবণশক্তি হারাতে শুরু করেছিলেন এবং ৪০ বছরের মাঝামাঝি সময়ে তিনি কার্যত বধির হয়ে যান। তিনি ২২ বছর বয়স থেকে তীব্র পেটে ব্যথা এবং দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়ায় ভোগেন।

এনবিএস/ওডে/সি

news