ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় গণতন্ত্র সম্মেলনে নাম নেই বাংলাদেশের

চলতি বছরের ২৯-৩০ মার্চ এই সম্মেলনটি যৌথভাবে আয়োজন করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, কোস্টারিকা, নেদারল্যান্ডস, দক্ষিণ কোরিয়া, ও জাম্বিয়া। আর এবারও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বাংলাদেশকে। অন্যদিকে, দক্ষিণ এশিয়ার ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল ও পাকিস্তান আমন্ত্রণ পেয়েছে সম্মেলনে। এর আগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত প্রথম গণতন্ত্র শীর্ষ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ১১০টি আমন্ত্রিত দেশের তালিকাতেও ছিলনা বাংলাদেশের নাম। সে সময় অবশ্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন আশা প্রকাশ করেছিলেন যে বাইডেন প্রশাসন দ্বিতীয় সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানাবে।

ভার্চুয়ালি এই বৈশ্বিক অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনটিতে তিনটি লক্ষ্য নিয়ে আলোচনা করা হবে। এসবের মধ্যে কর্তৃত্ববাদী সরকারকে প্রতিহত করা, দুর্নীতি দমন ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখা আলোচনার অন্যতম বিষয়সমূহ।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র প্রথমবারের মতো গণতন্ত্রের বৈশ্বিক সম্মেলনের আয়োজন করেছিল। সে সম্মেলনে ১১০টি দেশের প্রায় সাড়ে সাতশ প্রতিনিধি অংশ নিয়েছিলেন। এবারেও ১১১ টি দেশ এই সম্মেলনে আমন্ত্রণ পেয়েছে।

এর আগে গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর দ্বিতীয় গণতন্ত্র সম্মেলনের ১১০টি আমন্ত্রিত দেশের নামের একটি তালিকা প্রকাশ করে।

এদিকে  যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র (ভারপ্রাপ্ত) ব্রায়ান শিলার বলেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের কিছু বিষয়ের ও বৈচিত্র্যের প্রতিনিধিত্ব করে এমন দেশগুলোকে প্রেসিডেন্ট বাইডেন গণতন্ত্র সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। দি ডেইলি স্টার

প্রথম শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোকে নিজ দেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থা  শক্তিশালী করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। সে সময় ২০২২ সালকে তা ‘বাস্তবায়নের বছর’ হিসেবে ঘোষণা করে নেতৃবৃন্দ।

মুখপাত্র শিলার বলেন, আমরা বাংলাদেশসহ আগের সম্মেলনে আমন্ত্রণ না পাওয়া দেশগুলোর গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে এবং কর্তৃত্ববাদ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালানোর পাশাপাশি মানবাধিকারের প্রতিশ্রুতির বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করতে বলেছেন।

দ্বিতীয় সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানোর ক্ষেত্রে এগুলো বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘আমরা যতই সমস্যার মুখোমুখি হই না কেন, আমরা জানি মানুষের সম্ভাবনাকে প্রকাশ করার এবং সব মানুষকে সহযোগিতার সর্বোত্তম  হাতিয়ার হলো গণতন্ত্র এবং আমরা একে সর্বোচ্চ মর্যাদায় আসীন করব।’

এদিকে দায়িত্বশীল একটি সূত্রের বরাত দিয়ে মানবজমিন জানিয়েছে, বাইডেনের গণতন্ত্র সম্মেলনে আমন্ত্রণের পূর্বশর্ত হিসেবে বেশ কিছু বিষয়ে বাংলাদেশের কাছে প্রতিশ্রুতি চাওয়ার পর ঢাকা তাৎক্ষণিক সাড়া না দেওয়ায় সিদ্ধান্তটি ঝুলে যায়!

এনবিএস/ওডে/সি

news