আইনী লড়াইয়ের জন্য লন্ডনে ফিরলেন প্রিন্স হ্যারি

ব্রিটেনের যুবরাজ হ্যারি বেআইনি তথ্য সংগ্রহের অভিযোগে অ্যাসোসিয়েটেড নিউজপেপারস লিমিটেডের বিরুদ্ধে তার দায়ের করা মামলার শুনানিতে অংশ নিতে লন্ডনে পৌঁছেছেন। সাসেক্সের ডিউক গত বছর ডেইলি মেইল, দ্য মেইল অন সানডে এবং মেইল অনলাইনের প্রকাশকের বিরুদ্ধে এক মামলা করেন। তার সঙ্গে এধরনের মামলায় সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন ব্রিটেনের বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী এলটন জন সহ হাই-প্রোফাইল ব্যক্তিত্বদের একটি গ্রুপ।

এ মামলায় অ্যাসোসিয়েটেড নিউজপেপারস লিমিটেড (এএনএল) এর বিরুদ্ধে বছরের পর বছর ধরে হাই-প্রোফাইল ব্যক্তিদের তথ্য পাওয়ার জন্য অপরাধমূলক কার্যকলাপের বিভিন্ন উপায়ে জড়িত থাকার অভিযোগ করা হয়েছে। এলিজাবেথ হার্লি, স্যাডি ফ্রস্ট, ডেভিড ফার্নিশ এবং ডোরেন লরেন্সের মত ব্রিটেনের অভিজাত সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এ মামলায় প্রিন্স হ্যারিকে সমর্থন দিচ্ছেন। এর আগে তারা এক বিবৃতিতে বলেন যে, তাদের ‘ঘৃণ্য অপরাধমূলক কার্যকলাপ এবং গোপনীয়তার চরম লঙ্ঘনের শিকার’ হতে হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে ব্যক্তিগত তদন্তকারীদের নিয়োগ করার অভিযোগ ছাড়াও বাড়ি এবং গাড়িতে কথপোকথন শোনার ডিভাইস লাগানো এবং ব্যক্তিগত কল রেকর্ড করার মত অপরাধগুলো রয়েছে। এছাড়া প্রকাশক অভ্যন্তরীণ তথ্য পাওয়ার জন্য দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের অর্থ প্রদান, মেডিকেল রেকর্ড পেতে ছদ্মবেশী এবং প্রতারণার সাথে জড়িত থাকা এবং অবৈধ উপায়ে এবং ম্যানিপুলেশন’এর মাধ্যমে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং আর্থিক লেনদেন হ্যাক করার মত কার্যকলাপও রয়েছে।

লন্ডনের রয়্যাল কোর্ট অফ জাস্টিসে চার দিনের প্রাথমিক শুনানি শুরু হবার পর এএনএল মামলাটি বাতিল করার চেষ্টা করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এএনএল-এর একজন মুখপাত্র বলেছেন প্রিন্স হ্যারির দাবিগুলি ‘অপ্রমাণিত এবং অত্যন্ত মানহানিকর’ দাবি, কোন বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণের ভিত্তিতে নয় বরং তা ব্রিটেনের পিএ মিডিয়া সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে প্রিন্স হ্যারির দায়ের করা কয়েকটি মামলার মধ্যে এএনএল’র বিরুদ্ধে এ মামলাটি অন্যতম। ব্রিটেনে যাওয়ার সময় তার পরিবারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে তার পৃথক আইনি প্রক্রিয়া সম্পর্কে মেইল অন সানডে পত্রিকায় একটি খবর প্রকাশিত হয়। এরপর প্রিন্স হ্যারি এএনএল-এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

এনবিএস/ওডে/সি

news