রাশিয়ার ‘তেজস্ক্রীয়তা প্রতারণা’র  অভিযোগ জেলেনস্কির

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন যে, জাপোরিঝাজিয়ার পারমানবিক জ্বালানী কেন্দ্র রাশিয়ার বাহিনীর দখলে থাকা পর্যন্তু এর নিরাপত্তার কোন নিশ্চয়তা থাকবে না। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আনবিক জ্বালানী সংস্থার (আইএইএ) প্রধানের সঙ্গে আলোচনার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন। জেলেনস্কি বলেন, দখলদার রাশিয়ার বাহিনী সেখানে মস্কোর ‘তেজস্ক্রীয়তা প্রতারণা’র  অংশ হিসেবে কাজ করছে।

জেলেনস্কি গত সোমবার জাপোরিঝাজিয়ায় আইএইএ’র মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসির সাথে বৈঠক করেন। একই নামে পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে স্থানটির দূরত্ব প্রায় ৫০ কিলোমিটার।

জেলেনস্কির ওয়েবসাইটে দেয়া মন্তব্যে বলা হয়, তিনি গ্রোসিকে বলেছেন, জাপোরিঝাজিয়া পারমানবিক কেন্দ্রের কর্মচারী-কর্মকর্তার দখলদার রুশ সেনাদের তরফ থেকে প্রবল চাপের মধ্যে রয়েছে। এ কারণে তারা নিরাপত্তার বিধির মেনে নিরাপত্তার মান বজায় রাখতে পারছেন না। সেনারা প্রযুক্তিগত প্রক্রিয়ায়ও বাধা সৃষ্টি করছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, রুশ সেনা ও স্টাফদের অবিলম্বে সরিয়ে নেয়া না হলে জাপোরিঝাজিয়া পরমানু কেন্দ্রের নিরাপত্তার সব চেষ্টা ব্যর্থ হবে। তিনি বলেন, এক বছর ধরে একে পণবন্দী হিসেবে আটক করে রাখা হয়েছে। ইউরোপ বা বিশ্বের ইতিহাসে কখনো এমন ঘটনা ঘটেনি।

ইউক্রেনে হামলার প্রথম দিকে রাশিয়ার সেনারা জাপোরিঝাজিয়া পরমানু জ্বালানি কেন্দ্রটি দখল করে নেয়। এটি হলো ইউরোপের বৃহত্তম পরমানু জ্বালানী কেন্দ্র। রুশ  ও ইউক্রেনের সৈন্যরা কেন্দ্রটিতে গোলাবর্ষণ করছে। এতে সেখানে মারাত্মক পারমানবিক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে তারা পরস্পরকে দোষারোপ করছে। কেন্দ্রটির কাছে যুদ্ধ চলছে। এতে এর কুলিং সিস্টেম অকার্যকর হয়ে পড়তে পারে। তাহলে মারাত্মক পারমানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হতে পারে আশংকা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

জাপোরিঝাজিয়া পারমানবিক জ্বালানী কেন্দ্রের ৬টি রিয়াক্টার বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। ্্আর মাত্র এটি বিদ্যুৎ লাইনের মাধ্যমে কেন্দ্রটিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে যাতে কোন রিয়াক্টর গলে না যায়।

এনবিএস/ওডে/সি

news