মিয়ানমার সংকট সমাধানে ‘গোপন কূটনীতি’ ব্যবহার ইন্দোনেশিয়ার

ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী শুক্রবার বলেছেন, তারা সহিংসতায় বিধ্বস্ত মিয়ানমারের সব পক্ষের সঙ্গেই গোপন কূটনীতির মাধ্যমে কথা বলছেন।

২০২১ সালে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত অং সান সুচির সরকারকে হটিয়ে দেওয়ার পর দেশটিতে সশস্ত্র যুদ্ধ শুরু হয়েছে। দেশটি এখন সামাজিকভাবে অস্থিতিশীল এবং অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করছে।

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার মধ্যে ইন্দোনেশিয়া হলো বড় অর্থনীতির দেশ এবং বর্তমানে এই দেশটিই আসিয়ানের সভাপতি। তারা দুই বছর আগে প্রস্তাবিত এবং মিয়ানমারের সম্মতি দেয়া পাঁচ দফা নিয়ে কাজ করছেন। জান্তা প্রধান মিন অং হ্লায়িং প্রথম দিকে আসিয়ান প্রস্তাবিত এই পাঁচ দফা মেনে নেওয়ায় সম্মত থাকলেও পরে তিনি সেটা নাকচ করে দেন। সে কারণেই তখন পাঁচ দফা বাস্তবায়ন ব্যর্থ হয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেন্টো মারসুদি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আসিয়ানের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই এই গোপন কূটনীতির মাধ্যমে আলোচনা শুরু করেছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা পারস্পরিক আস্থাপনের জন্য সময় দিয়েছি। এর মানে এই নয় যে আমরা চুপচাপ আছি।’

তিনি বলেছেন, বছরের শুরু থেকেই জাকার্তা ৬০ বার বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছে। সেটা আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে কাজে আসবে। এর মধ্যে মিয়ানমারের ঐক্য সরকার, জান্তা বিরোধী বিভিন্ন পক্ষ, সেনা নিয়োগ পাওয়া সরকার এবং সংখ্যালঘু সশস্ত্র গ্রুপগুলো রয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, আসিয়ানের সকল সদস্য দেশকেই এই আলোচনার ব্যাপারে জানানো হয়েছে।

আগামী সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ার ‘ফ্লোরেস’ দ্বীপের আসিয়ানের বৈঠক শুরু হবে। এই বৈঠকে মিয়ানমারকে নিমন্ত্রণ করা হয়নি।

এনবিএস/ওডে/সি

news