জটিল রূপ নিচ্ছে ইউক্রেন যুদ্ধ

ইউক্রেন যুদ্ধ ক্রমশ জটিল রূপ ধারণ করছে। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে প্রায় হামলার সতর্কতা সংকেত সাইরেন বেজে উঠছে।  ক্রেমলিনে পুতিনের বাসভবনে ড্রোন হামলার পর রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা জোরদার করেছে।  এ ড্রোন হামলার জন্য রাশিয়া ইউক্রেন ও তার মিত্র যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছে । তবে তারা মস্কোর এ অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এক বিবৃতিতে বলেছেন, 'তারা (পশ্চিমারা) ইউক্রেনের বৈধ সরকারকে ধ্বংস করে দস্যুদেরকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। এখন তারা ইউক্রেনীয় দস্যুদের অর্থ ও অস্ত্র সরবরাহ করেছে। তাদেরকে তারা যেকোনো উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের অনুমতি দিয়েছে এবং দায়মুক্তির অনুভূতি জাগিয়েছে। এছাড়া পশ্চিমারা তাদের রাজনৈতিক ছত্রছায়া ও সামরিক সহায়তা প্রদান করছে।

গত বুধবার রাশিয়া অভিযোগ করেছে, ইউক্রেন দু’টি ড্রোন দিয়ে রুশ প্রেসিডেন্টের বাসভবনে হামলার চেষ্টা করেছিল। যেগুলো গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। রুশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মস্কো উপযুক্ত সময়ে এ হামলার প্রতিশোধ নেবে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও মার্কিন কর্মকর্তারা ওই হামলায় তাদের জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। জেলেনস্কির দাবি, রাশিয়া পুনরায় হামলা চালানোর অজুহাত খাড়া করতে নিজে এ ফলসফায়ার হামলা চালিয়েছে।

এই হামলায় কোনোরকম জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি সিএনএনকে বলেন, ক্রেমলিনের মুখপাত্র পেসকভ মিথ্যা কথা বলছেন। আমি বলতে চাচ্ছি, এটি স্পষ্টতই একটি হাস্যকর দাবি। এ হামলার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সম্পর্ক নেই।

ইউক্রেন যুদ্ধ চলতি বছর অনেকটা বাখমুতকেন্দ্রিক ছিল। বাখমুতের লড়াই নিয়েই প্রকৃতপক্ষে ব্যস্ত ছিল দুই পক্ষ। রাশিয়ার ভেতরে কয়েকটি হামলার কারণে রাশিয়া আবারও ইউক্রেনের বিভিন্নস্থানে ব্যাপক হামলা শুরু চালায়।

ক্রেমলিনের ড্রোন হামলার ঘটনার পর রাশিয়া জেলেনস্কিকে এবং তার সরকারকে নির্মূলের কথা বলছে। জেলেনস্কি এবং তার প্রশাসনকে নির্মূল করার আহ্বান জানিয়েছেন রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ। বর্তমানে মেদভেদেভ রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের উপপ্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন। অনেক বিশ্লেষক মেদভেদেভের মন্তব্যকে জেলেনস্কিকে হটানোর হুমকি বলে মনে করছেন।

এনবিএস/ওডে/সি

news