কর্ণাটকে বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ

ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে নির্বাচনে পরাজয়ের পর ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই শনিবার পদত্যাগ করেছেন। তিনি শনিবার গভর্নর থাওয়ার চাঁদ গেহলটের কাছে তার পদত্যাগপত্র জমা দেন। ই

বোম্মাই সাংবাদিকদের বলেন যে, তার পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করা হয়েছে।কংগ্রেসের প্রতি ব্যাপক সমর্থন দেখার পর বোম্মাই পরাজয় স্বীকার করে নেন।

ভারতের নির্বাচন কমিশন জানায়, কর্ণাটক রাজ্য বিধান সভার নির্বাচনে কংগ্রেস ১৩৬টি আসনে জয়ী হয়েছে। বিজেপি পেয়েছে ৬৫ আসন, জনতা দল (জেডিএস) ১৯ এবং অন্য দু’টি একটি করে মোট ২ আসন পেয়েছে।

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের বিজেপি শাসিত রাজ্য কর্ণাটক হাতছাড়া হলো দলটির।কর্নাটকে জয়ে উজ্জীবিত কংগ্রেস প্রধান মালিকার্জুন খার্গ বলেছেন, কর্ণাটকের ফলাফল থেকে পরিস্কার হয়েছে যে, ভারতের দক্ষিণাঞ্চল এখন বিজেপি মুক্ত। এ বছরের প্রথম দিকে খার্গ দলের প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর কর্ণাটকের নির্বাচন হলো দলটির বড় বিজয়।
২০১৮ সালের রাজ্য বিধান সভার নির্বাচনে ১০৪টি আসন নিয়ে বিজেপি রাজ্যটিতে একক বৃহত্তম দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। কংগ্রেস ৮০ আসন ও জেডিএস ৩৭টি আসন পায়।

আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও তেলেঙ্গানা রাজ্যে বিধানসভার নির্বাচন হবে। এসব নির্বাচনে নতুন গতিসঞ্চার কংগ্রেসের প্রচেষ্ঠার সময় কর্ণাটকে বড় জয় পেল দলটি।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কর্ণাটকে জয়ের জন্য কংগ্রেসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি রাজ্যে বিজেপি কর্মীদের কঠোর প্রচেষ্ঠ্ার প্রশংসা করে বলেন, আগামীতে তার দল রাজ্যটি আরো ব্যাপকভাবে কাজ করবে। ২২৪ আসন বিশিষ্ট কর্ণাটক রাজ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১০ মে। এ নির্বাচনে ৭২.৬৮ শতাংশ ভোট পড়ে। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য দরকার ১১৩টি আসন।

এদিকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, ‘কর্ণাটকে ঘৃণার বাজার বন্ধ হয়ে গেল, খুলে গেছে ভালোবাসার দোকান।’ ভারত জোড়ো যাত্রার সময়ও তার স্লোগানও ছিল এই রকম। তামিলনাড়ু থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত সাড়ে চার হাজার কিলোমিটার হাঁটার সময় বারবার রাহুল বলে এসেছেন, ‘ঘৃণার বাজারে আমি ভালোবাসার দোকান খুলতে এসেছি।’ কর্ণাটক জয় রাহুলের সেই স্লোগান আংশিক সত্য হল।  

এনবিএস/ওডে/সি

news