ঘূর্ণিঝড় মোকার আঘাতে মিয়ানমারের রাখাইনে নিহত শতাধিক

ঝড়ের পর তাৎক্ষণিকভাবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে রাখাইনে ছয়জনের নিহতের তথ্য দিলেও আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শতাধিক লোক নিহত হয়েছে। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থায় নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা থাকায় প্রকৃত চিত্র পাওয়া যাচ্ছে না। উদ্ধার ও ত্রাণ কাজের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দুর্গত এলাকাগুলোতে মানবিক সহায়তা প্রদানে কার্যরত গ্রুপগুলো বলেছে, কিছু রোহিঙ্গা ক্যাম্প একেবারেই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।

সোমবার রাতে মিয়ানমারের সামরিক সরকার এ অঞ্চলটিকে ‘দুর্গত এলাকা’ ঘোষণা করেছে। তবে রাখাইন রাজ্যটি মিয়ানমার সরকার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করে না। ২৫০ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়ে গাছপালা উপড়ে গেছে, টেলিকমিউকেশন টাওয়ার ভেঙ্গে পড়েছে এবং অনেক ঘরের ছাদ উড়ে গেছে।

তিন থেকে সাড়ে তিন মিটার মৌসুমী বৃষ্টি ও ঝড়ের কারণে বন্যায় নিম্নাঞ্চল ডুবে গেছে। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয়ক দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, রাখাইনের রাজধানী সিত্তওয়ের আশপাশের বিস্তৃত এলাকা একেবারে ধ্বংস হয়ে গেছে।

সোমবার সমন্বয়ক দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক এবং দরিদ্র সম্প্রদায়গুলোর জন্য সহায়তা প্রয়োজন, বিশেষ করে বাস্তুচ্যুত লোকদের জন্য সহায়তা দ্রুত প্রয়োজন।’

ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব চলেছে প্রায় ২০ লাখ মানুষের আবাস্থলের। তার মধ্যে ২০১৭ সালের সামরিক জান্তার ক্র্যাকডাউনের পরেও যেসব রোহিঙ্গা রাখাইনে রয়ে গেছে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তারাও। তারা অবহেলা ও চলাফেরায় তীব্র বিধিনিষেধের মধ্যে বিভিন্ন ক্যাম্পে বাস করছে।

রাখাইনে কর্মরত ‘পার্টনার্স রিলিফ এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’ থেকে বলা হয়েছে, সিত্তওয়ের কাছে থাকা রোহিঙ্গারা বলেছে, তাদের ক্যাম্পগুলো একেবারেই ঘুড়িয়ে গেছে।

এনবিএস/ওডে/সি

news