মঙ্গলবার আদালতে হাজিরা, ফের গ্রেপ্তার হওয়ার আশংকা ইমরান খানের

পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ ৯ মে’র দাঙ্গাকারীদের সামরিক আইনে বিচার করা প্রস্তাব পাশ করেছে। সোমবার (২২ মে) জাতীয় পরিষদের প্রস্তাবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী  ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর সেনা স্থাপনায় হামলাকে ‘নির্লজ্জ ঘটনা’ বলে নিন্দা করা হয়। এদিকে, ইমরান খান মঙ্গলবার ফের গ্রেপ্তার হওয়ার আশংকা প্রকাশ করেছেন।

পাকিস্তানের বেসামরিক-সামরিক নেতারা জাতীয় পরিষদে পাস হওয়া প্রস্তাবে দাঙ্গাকারীদের সামরিক আইনসহ সংশ্লিষ্ট আইনে বিচার করার প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ সোমবার জাতীয় পরিষদে প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন।

ডনের খবরে বলা হয়, আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার ইসলামাবাদ আদালতে হাজিরা দেবেন তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, গত ৯ মে-এর মতো তাকে আবারও গ্রেপ্তার করা হতে পারে। সম্ভাব্য এ গ্রেপ্তারের আগে সোমবার টুইটারে সমর্থকদের সঙ্গে যুক্ত হন ইমরান। তিনি প্রায় দেড় ঘণ্টা টুইটারে করা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

ইমরান সমর্থকদের ‘শান্তিপূর্ণ’ আন্দোলন অব্যাহত রাখার নির্দেশনা দিয়ে বলেছেন, এতে কোনো কিছুরই পরিবর্তন হবে না। তিনি বলেছেন, ‘যদি আমাকে জেলে যেতে হয়, এটি কোনো কিছুরই পরিবর্তন করবে না। আমি এরজন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত।’

সেনাবাহিনী ও তাদের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেছেন ইমরান খান। তিনি দাবি করেছেন সেনাবাহিনীর সঙ্গে তার কোনো দ্বন্দ্ব নেই। তিনি বলেছেন, ‘আমি একটি বিষয় পরিষ্কার করতে চাই আমি নিজ সেনাদের সঙ্গে লড়ছি না। কে এমনটা করে? সেনাবাহিনীর সঙ্গে আগে কোনো দ্বন্দ্ব ছিল না, এখনো নেই।’

এক টুইটার ব্যবহারকারী ইমরান খানকে জিজ্ঞেস করেন বর্তমান সেনাপ্রধান অসিম মুনিরকে ২০১৯ সালে তিনি কেন গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের ডিজির পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন? এ প্রশ্নের সরাসরি জবাব দেননি তিনি। এর বদলে কৌশলে বলেছেন, এ প্রশ্ন যেন অসিম মুনিরকেই করা হয় কেন তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং এর জবাব যেন তিনি দেন। এছাড়া গত ৯ মে পাকিস্তানজুড়ে যে সহিংস বিক্ষোভ হয়েছে এর সঙ্গে তার দলের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবি করেছেন ইমরান খান।

এনবিএস/ওডে/সি

news