যুক্তরাজ্যে বিদেশি শিক্ষার্থীরা আর স্বজনদের সঙ্গে নিতে পারবেন না

যুক্তরাজ্যে অধ্যয়নরত স্নাতকোত্তর পর্যায়ের গবেষক নন, এমন বিদেশি শিক্ষার্থীরা তাদের সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের সে দেশে নিয়ে যেতে পারবেন না। আগামী জানুয়ারি থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে। অভিবাসী কমাতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে ইউরোপের দেশটি।

যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বৈধ অভিবাসীর সংখ্যা আনুষ্ঠানিক পরিসংখ্যান প্রকাশের দুই দিন আগে নতুন এই ঘোষণা এল। ধারণা করা হচ্ছে, বৈধ অভিবাসীর সংখ্যা চলতি বছর রেকর্ড সাত লাখে পৌঁছেছে। সরকারি হিসাবে, যুক্তরাজ্য ২০২২ সালে দেশটিতে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যদের ১ লাখ ৩৫ হাজার ৭৮৮টি ভিসা দিয়েছিল, যা ২০১৯ সালের প্রায় ৯ গুণ।

প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক মন্ত্রীদের বলেছেন, অভিবাসন নিয়ে নতুন এই নীতি অভিবাসী কমাতে সাহায্য করবে। আগামী জানুয়ারি থেকে কার্যকর হতে যাওয়া এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক মন্ত্রিসভাকে অবহিত করেছেন।

ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি দেশটিতে অভিবাসীর সংখ্যা বছরে এক লাখে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বারবার ব্যর্থ হওয়ার পর ২০১৯ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে এ অবস্থান থেকে সরে আসে দলটি।

অভিবাসন নিয়ে নতুন ঘোষণার ফলে যুক্তরাজ্যে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্বামী/স্ত্রী/সঙ্গী ও সন্তানেরা দেশটিতে বসবাসের জন্য আবেদন করতে পারবেন না। তবে যারা গবেষণা করছেন, তাদের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য নয়।

সরকারি হিসাবে গত বছর যুক্তরাজ্যে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যদ্যের ১ লাখ ৩৫ হাজার ৭৮৮টি ভিসা দেওয়া হয়। সম্পূর্ণ শিক্ষাবৃত্তির অধীনে ওই বছর যতগুলো ভিসা দেওয়া হয়েছিল, এই সংখ্যা তার ৫ ভাগের ১ ভাগ। অথচ ২০১৯ সালে এই সংখ্যা ছিল ৬ শতাংশ।

ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান এর আগে বলেছিলেন, শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যদের ভিসা দেওয়া এভাবে বেড়ে যাওয়াটা নজিরবিহীন। একই সঙ্গে তিনি বলেন, অভিবাসীর সংখ্যা কমাতে তাঁদের (শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যরা) ভিসা দেওয়ায় লাগাম টানার এখনই সময়।

এনবিএস/ওডে/সি

news