মার্কিন বোমারু বিমানকে বাঁধা দিতে ছুটে গেল রুশ জঙ্গী বিমান

যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর প্লেনের সীমান্ত লঙ্ঘন ঠেকাতে এ পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানিয়েছে রাশিয়া। মস্কো বলছে, বাল্টিক সাগরের ওপর  দিয়ে উড়ে যাওয়া মার্কিন বিমান বাহিনীর দু’টি কৌশলগত বোমারু বিমানের ‘রাষ্ট্রীয় সীমান্ত লঙ্ঘন রোধে’ তারা এসইউ-২৭ যুদ্ধবিমান পাঠায়।

মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, রুশ সামরিক বাহিনী মার্কিন বিমানের যে সীমান্ত লঙ্ঘন রোধ করেছে এবং ‘আকাশসীমা ব্যবহারের আন্তর্জাতিক নিয়ম যথাযথভাবে মেনেই রুশ জঙ্গী বিমান পরিচালনা করেছে।’ মস্কো বলেছে, ‘রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সীমান্ত থেকে বিদেশি সামরিক বিমানগুলোকে হটিয়ে দেওয়ার পর রুশ ফাইটার জেটটি তার বিমান ঘাঁটিতে ফিরে গেছে। হটিয়ে দেয়া বিমান দুটি হলো যুক্তরাষ্টের বিমান বাহিনীর বি-১বি কৌশলগত বোমারু বিমান।  

যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট রাইডার মঙ্গলবার নিশ্চিত করেছেন যে, রাশিয়ার যুদ্ধবিমান মার্কিন বোমারু বিমানকে বাধা দিয়েছিল। তিনি বলেন, বি-১ বোমারু বিমানগুলো ইউরোপে একটি নির্ধারিত মহড়ায় অংশ নিচ্ছিল এবং মার্কিন বিমানের সাথে রাশিয়ার জঙ্গী বিমানের কাছাকাছি ্আসার ঘটনা ছিল ‘নিরাপদ ও পেশাদার’।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে দু’টি বি-১ বোমারু বিমান আছে যেগুলো বোমারু টাস্ক ফোর্সের অংশ। এই দু’টি সামরিক বিমান আমরা নিয়মিতভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উড্ডয়ন করে থাকি। ইউরোপে একটি দীর্ঘ পরিকল্পিত মহড়ায় অংশ নিতে (বিমান দু’টি রুশ আকাশ সীমান্তের) পাশ দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল এবং আমার কাছে মনে হয়েছে যে, রাশিয়ার জঙ্গী বিমান তার কাছাকাছি আসা ছিল নিরাপদ ও পেশাদার। তাই সেই বিষয়ে রিপোর্ট করার মতো উল্লেখযোগ্য কিছু নেই।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে মস্কোর সর্বাত্মক সামরিক হামলা চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কের ব্যাপক টানাপোড়েন চলছে। ওয়াশিংটন তার মিত্র দেশগুলোকে নিয়ে ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা দিচ্ছে এবং ক্রমশ তার আকার ও পরিধি বাড়ছে। আর এর মধ্যেই মার্কিন বিমান বাহিনীর প্লেনের সীমান্ত লঙ্ঘন রোধে জঙ্গীবিমান পাঠাল রাশিয়া।

এর আগে গত মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের একটি নজরদারি ড্রোন কৃষ্ণ সাগরে বিধ্বস্ত হয়। মূলত আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় রাশিয়ান যুদ্ধবিমান সেটিকে বাধা দেওয়ার পর ড্রোনটি বিধ্বস্ত হয়েছিল। মার্কিন সামরিক বাহিনী বলেছিল, রাশিয়ান জেট ওই ড্রোনের প্রপেলারে আঘাত করার পরে সেটি সমুদ্রে পড়ে যায়। এছাড়া গত এপ্রিলের শেষের দিকে স্কটল্যান্ডের উত্তরে একটি রাশিয়ান সামরিক বিমানকে আটকানোর জন্য যুক্তরাজ্য থেকে ফাইটার জেটগুলো ছুটে গিয়েছিল।

এনবিএস/ওডে/সি

news