মোদীকে কংগ্রেস, সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডেকে গণতন্ত্রে আস্থার প্রমাণ দিন

নতুন সংসদ ভবন  উদ্বোধন অনুষ্ঠান কুড়িটি বিরোধী দল বয়কট করেছে। তা নিয়ে সরকার ও বিরোধী পক্ষের বিবাদ কিছুতেই থামছে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রবিবারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের ভাষণে বিরোধীদের নতুন করে নিশানা না করলেও গণতন্ত্রের প্রতি তাঁর আস্থা তুলে ধরেছেন নানা কথায়। তবে বিজেপি এবং তাদের সহযোগী দলগুলি কংগ্রেস সহ বিরোধীদের উপর আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস দাবি তুলেছে, সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডেকে প্রধানমন্ত্রী দেশের জ্বলন্ত সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনার ব্যবস্থা করুন। কংগ্রেসের দাবি, সেখানেই বিরোধীরা তাঁদের নয়া সংসদ ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠান বয়কটের বিষয়ে জবাবদিহি করবে।
 কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা আনন্দ শর্মা আরও বলেছেন, দেশে মূল্যবৃদ্ধি, বেকারি অতীতের সব রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছে। জনসাধারণের এই সমস্ত বিষয় নিয়েও সংসদে আলোচনা হওয়া দরকার। শর্মা বলেন, আশা করি বিশেষ অধিবেশন ডেকে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর কাছে তাঁর গণতন্ত্রের প্রতি আস্থার প্রমাণ দেবেন এবং বিরোধীদের বক্তব্য কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেওয়া হবে না।

প্রসঙ্গত, সংসদের বিগত বাজেট অধিবেশনে আদানি ইস্যুতে রাহুল গান্ধী সহ একাধিক কংগ্রেস নেতার বক্তব্য সংসদের দুই কক্ষেরই কার্যবিবরণী থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ওই ইস্যুতে পৃথক আলোচনাতেও সরকার রাজি হয়নি।

কংগ্রেসের আর এক প্রবীণ নেতা পি চিদাম্বরম চান বিশেষ অধিবেশনের আলোচ্যসূচিতে চিন সীমান্তের পরিস্থিতি রাখা হোক। তাঁর বক্তব্য, ১৯৬২ সালে ভারত-চিন যুদ্ধের সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওরলাল নেহরু সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডেকেছিলেন। বিগত কয়েক বছর যাবত চিন ভারতের ভূখণ্ড দখল করে রেখেছে অভিযোগ করে চিদাম্বরম বলেন, কেন এই পরিস্থিতি সংসদে সরকার ব্যাখ্যা দিক।

চিদাম্বরম দেশে দাঙ্গা পরিস্থিতি, ঘৃণা ভাষণ, যুক্ত রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার প্রতি অনাস্থা নিয়েও সরব হয়েছেন। তিনি বলেন, কেউ বিশ্বাস করে না দেশ এখন সংবিধান সম্মত ভাবে চলছে। সংবিধানের মৌলিক নীতিগুলি পদে পদে পদদলিত হচ্ছে।
তাঁর আরও অভিযোগ, সংসদকে এড়িয়ে আইন চালু করা, আদালতের রায় উপেক্ষার মতো বিষয়গুলি মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের প্রতি আস্থাশীল হলে এই বিষয়গুলি নিয়েও সংসদে জবাব দিন।সূত্র: এশিয়া নেট নিউজ বাংলা


এনবিএস/ওডে/সি

news