এ সপ্তাহেই চীন সফর করতে পারেন ইলন মাস্ক

 টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক এই সপ্তাহে চীন সফর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত তিন ব্যক্তি জানিয়েছেন, তিন বছরের মধ্যে দেশটিতে তার প্রথম সফরে কী হবে।

দুটি সূত্র জানিয়েছে, ইলন মাস্ক চীনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করবেন এবং টেসলার সাংহাই প্লান্ট পরিদর্শন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তবে তিনি কার সঙ্গে দেখা করবেন এবং তারা কী নিয়ে আলোচনা করবেন তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার হয়নি।

বিষয়টি ব্যক্তিগত হওয়ায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তিরা এ সফর সম্পর্কে জানেন। টেসলা এবং চীনের স্টেট কাউন্সিল ইনফরমেশন অফিসকে এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য অনুরোধ করা হলে তারা তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি।

গত মার্চ মাসে রয়টার্স জানিয়েছিল, এই ধনকুবের চীন সফরের পরিকল্পনা করছেন এবং এপ্রিলের প্রথম দিকে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠক করতে চাইছেন।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের পরে চীন হলো টেসলার দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার এবং সাংহাই প্লান্ট হলো বৈদ্যুতিক এই গাড়ি প্রস্তুতকারকের বৃহত্তম উৎপাদন কেন্দ্র।

মাস্ক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারেরও মালিক, যা চীনে নিষিদ্ধ, যদিও কিছু লোক ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্কের ভিপিএন মাধ্যমে এটি ব্যবহার করে।

২০২০ সালের গোড়ার দিকে টেসলার সাংহাই ফ্যাক্টরিতে একটি ইভেন্ট চলাকালীন মঞ্চে নাচের মাধ্যমে ইন্টারনেটে আলোড়ন সৃষ্টি করার পর থেকে চীনে এটি মাস্কের প্রথম সফর হিসেবে চিহ্নিত হবে। সফরটি এমন একটি সময় হবে যখন টেসলা চীনের গাড়ি নির্মাতাদের সঙ্গে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাসহ একাধিক সমস্যায় জর্জরিত, যারা চীনে তৈরি বৈদ্যুতিক যানবাহন রপ্তানি করছে।

এদিকে টেসলার সাংহাই প্লান্টে যানবাহন তৈরির সংখ্যা বাড়িয়ে বছরে সাড়ে চার লাখ পর্যন্ত করার পরিকল্পনার বিষয়ে এখনো কোনো নতুন তথ্য দেয়নি।

কম্পানিটি এপ্রিলে বলেছিল, তারা শক্তি সঞ্চয় পণ্য ‘মেগাপ্যাক’ উৎপাদন করতে সাংহাইতে একটি কারখানা তৈরি করবে। সংস্থাটি স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে সাংহাই প্লান্টে বার্ষিক ১.৭৫ মিলিয়ন ইউনিটে পাওয়ারট্রেন উৎপাদনের ক্ষমতা প্রসারিত করার পরিকল্পনা জমা দিয়েছে।

অন্যদিকে চীনের রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনাকারী শতাধিক প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে দেশটির অটো শিল্পে সক্ষমতা বৃদ্ধির নিয়ে লড়াই করছে এবং নতুন উৎপাদন ক্ষমতা অনুমোদনের বিষয়ে সতর্ক রয়েছে।

মাস্ক এই মাসের শুরুতে সিএনবিসিকে বলেছিলেন, ‘চীনে আমাদের সম্প্রসারণের ক্ষমতার কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এটি কোনো চাহিদার সমস্যা নয়।

একই সাক্ষাৎকারে মাস্ক বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে উত্তেজনা ‘সবার জন্য উদ্বেগের বিষয় হওয়া উচিত’। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news