জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রিপোর্টকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে প্রত্যাখ্যান আফগানিস্তানের

আফগানিস্তানের পরিস্থিতি সম্পর্কে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা কমিটির পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষক দলের একটি প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায়, আফগানিস্তান ইসলামিক আমিরাত রোববার এক বিবৃতিতে প্রতিবেদনের ফলাফলকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট এবং বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে’ বলে অভিহিত করেছে।

আফগানিস্তান ইসলামিক এমিরেটসের মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞার ধারাবাহিকতা এবং এই জাতীয় প্রতিবেদনগুলিকে কুসংস্কারে পূর্ণ এবং স্বাধীনতা ও অ-হস্তক্ষেপের নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করে ইসলামিক এমিরেটস এবং এটি বন্ধ করার আহ্বান জানায়।

বিবৃতিতে বলা হয়, প্রতিবেদনে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে সেগুলো একেবারেই ভিত্তিহীন। প্রতিবেদনটি আফগান জনগণের জন্য শত্রুদুষ্ট এবং বিগত ২০ বছরের অপপ্রচারের পুনরাবৃত্তি ছাড়া আর কিছুই নয়। মুজাহিদ বলেছেন, ইসলামিক এমিরেটস প্রতিশ্রুতির প্রতি অঙ্গীকারাবদ্ধ। দেশটি প্রতিবেশী, আঞ্চলিক বা বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্য কোনোভাবেই হুমকি নয়।

গত শনিবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একটি বার্ষিক প্রতিবেদনে ‘অন্যালাইটিক্যাল সাপোর্ট এ্যান্ড স্যাঙ্কশান মনিটরিমের টিম’-এর বিশ্লেষণে ১৯৯০ দশকের শেষের দিকে ইসলামী আমিরাতের ‘বর্জনীয়’ নীতিতে ফিরে আসার বিষয়টির তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলেছেন, কোনো নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠানের মধ্যস্থতায় আফগানিস্তানের উচিত জাতিসংঘের সঙ্গে বিদ্যমান সমস্যাগুলোর সমাধান করে ফেলা। রাজনীতি বিশ্লেষক তোরেক ফারহাদি বলেছেন, বর্তমান সরকারের উচিত উপসংহারে পৌঁছানোর জন্য উর্ধ্বতন পর্যায়ে আরো বেশি লোক নিয়োগ দেওয়া।

সামরিক বিষয়ক বিশ্লেষক সাদিক শিনওয়ারি বলেন, এই প্রতিবেদন এবং বিরোধপূর্ণ অভিযোগের পরিবর্তে, কোন পক্ষ দোহা চুক্তিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নয় তা জানার জন্য একটি নিরপেক্ষ গোষ্ঠী নিয়োগ করা উচিত এবং এর পরে উভয় পক্ষের উদ্বেগের সমাধান করা উচিত।

অপর বিশ্লেষক নজিব রহমান শামাল বলেছেন, ‘বর্তমান সরকারের উচিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং উভয় পক্ষের মধ্যে অবিশ্বাসের সমাধান করা।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

 এনবিএস/ওডে/সি

news