আল-আকসা দুই ভাগ ঠেকাতে সাহায্য চান ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী, চীন সফরে প্রেসিডেন্ট আব্বাস

 আল-আকসা মসজিদকে দুই ভাগ করতে ইসরায়েল পার্লামেন্টে আলোচনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ফিলিস্তিন। পাশাপাশি তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও মিশরের কাছে বিষয়টি নিয়ে বিচার চেয়েছে দেশটি। ইসরায়েল যাতে এই বিল পাশ করতে না পারে সে জন্য মুসলিম বিশ্বের সমর্থন চাচ্ছে ফিলিস্তিনিরা। অন্যদিকে চীন সফর করছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট আব্বাস।

বেইজিং সফরকালে আব্বাস চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। ওয়াফার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সবশেষ ফিলিস্তিনি পরিস্থিতি নিয়ে দুই নেতার মধ্যে কথা হবে। পাশাপাশি তারা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।
চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেছিয়াংয়ের সঙ্গেও আব্বাস বৈঠক করবেন বলে বার্তা সংস্থাটি জানিয়েছে।

আল-আকসা প্রসঙ্গে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি ইসরায়েলকে সতর্ক বার্তা দিয়েও থামানোর চেষ্টা করছে ফিলিস্তিন। ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শতায়েহ ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষকে সাবধান করে বলেছেন, এমন কিছু বাস্তবায়ন করা হলে যে পরিণতি হবে তা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা নেই ইসরায়েলের। লিকুদ পার্টির সদস্য আমিত হালেভি এই প্রস্তাব উত্থাপন করেন। শিগগিরই ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটে এই বিল তোলা হবে। খসড়া বিলে বলা হয়েছে, আল-আকসা মসজিদ এলাকা ইহুদি ও মুসলিমদের মধ্যে ভাগ করে দিতে হবে। ডোম অব রক থেকে উত্তর সীমান্ত পর্যন্ত ইহুদিদের জন্য চান হালেভি। আর বাকি অংশ ফিলিস্তিনিদের অধীনে থাকবে।

রামাল্লায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে ইসরায়েলের এমন পরিকল্পনার তীব্র নিন্দা জানান ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই পদক্ষেপ এমন ক্ষোভের সৃষ্টি করবে এবং এর যা পরিণতি হবে তা আগে থেকে ধারণা করার কোনো সুযোগ নেই। ফিলিস্তিনিদের কাছে আল-আকসা মসজিদের যে ধর্মীয় গুরুত্ব রয়েছে তার কোনো তুলনা হয় না।

তিনি আরব, ইসলামিক ও আন্তর্জাতিক বিশ্বকে ইসরাইলের এমন প্রচেষ্টার নিন্দা জানানোর আহবান জানান। পাশাপাশি ইসরায়েলকে যেনো নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয় সেই আবেদনও করেন তিনি।

তবে ফিলিস্তিনিরা এমন পরিকল্পনায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছে। তারা মনে করছেন, এটি আসলে ইসরায়েলের বড় পরিকল্পনার সামান্য অংশ। ইসরায়েল আল-আকসাকে ঘিরে একটি ধর্মযুদ্ধ সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এই যুদ্ধের নাম করে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ব্যাপক মাত্রার সহিংসতা সৃষ্টি করবে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনিরা বলছেন, আল-আকসাকে বিভক্ত করা হলে এর ইসলামিক পরিচয় বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তাছাড়া ইসরায়েল তখন একতরফাভাবে এই এলাকায় নিয়ন্ত্রণ স্থাপন করতে পারবে।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

 এনবিএস/ওডে/সি

news