জন্মহার বাড়াতে বিশাল অঙ্কের অর্থ ব্যয়ের পরিকল্পনা জাপান সরকারের

জন্মহার বাড়াতে এবার ব্যাপক পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। এতে করে প্রতিবছর দেশটির শিশু সুরক্ষা খাতে আড়াই হাজার কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় করবে সরকার।

এছাড়াও দেয়া হবে বিভিন্ন প্রনোদনা। জাপানের নিম্নমুখী জন্মহার পরিবর্তনের জন্য এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও জানান দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা।

 বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশ জাপান। এ অর্থনীতি পরিচালনার জন্য প্রয়োজন কর্মক্ষম জনবল। তবে নিম্ন জন্মহারের কারণে জাপান এখন ভুগছে ভয়াবহ জনশক্তির অভাবে। দেশটিতে বাড়ছে বয়স্কদের সংখ্যাও। এতে প্রতিনিয়ত চাপ বাড়ছে জাপানের অর্থনীতিতে।
 
জনসংখ্যা বাড়াতে মঙ্গলবার (১৩ জুন) বিশাল পরিকল্পনার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। এর অংশ হিসেবে জন্মহার বাড়াতে প্রতি বছর প্রায় আড়াই হাজার কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় করবে দেশটির সরকার।
 
এছাড়া যেসব পরিবারে সন্তান আছে তাদের কর কমানো এবং আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। এসব প্রনোদনার কারণে দেশটিতে ২০৩০ সালের মধ্যে জন্মহার সন্তোষজনক অবস্থায় পৌঁছাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
 
নিম্নমুখী জন্মহার জাপানের সমাজ এবং গোটা অর্থনীতির জন্য অশনি সংকেত। এ সমস্যা সমাধানে এবার আমরা জরুরি ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি। আশা করি ২০৩০ সাল নাগাদ এ অবস্থার পরিবর্তন হবে। এটাই আমাদের জন্মহার বাড়ানোর শেষ সুযোগ।
 
নানাবিধ পরিকল্পনা গ্রহণের পরও গেলো বছর জাপানের জন্মহার ছিলো মাত্র এক দশমিক দুই ছয় শতাংশ। যা ১৯৯০ সালের পর সর্বনিম্ন। তাই প্রশ্ন উঠছে কতটা কার্যকর হবে এবারের পরিকল্পনা।
 
ফুমিও কিশিদা এমন এক সময় জন্মহার বাড়ানোর পরিকল্পনা প্রাকাশ করলেন যখন গুঞ্জন উঠেছে চলতি সপ্তাহে পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে নতুন করে নির্বাচনের আয়োজন করতে যাচ্ছেন তিনি। যদিও এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানাননি তিনি।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

 এনবিএস/ওডে/সি

news