প্রবল বর্ষণে বেইজিংয়ে ১১ জনের প্রাণহানি, নিখোঁজ ২৭

 চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে চতুর্থ দিনের মত  ভারী বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। বৃষ্টি ও ঘূর্ণিঝড় ডকসুর কারণে সৃষ্ট বন্যায় এসব মৃত্যু ও নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছে। ইতোমধ্যে বন্যার কারণে ৫২ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার দেশটির রষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভির বরাত দিয়ে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার সুপার টাইফুন ‘ডকসুরি’ চিনের উত্তরাঞ্চলে আঘাত হেনেছে। এর আগে ঘূর্ণিঝড়টি দেশটির ফুজিয়ান প্রদেশে আঘাত হানে। শনিবার রাজধানী বেইজিংয়ে ডকসুরির প্রভাবে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়। ৪০ ঘণ্টার বৃষ্টিপাত দেশটির জুলাই মাসের সব রেকর্ডকে ভেঙে দিয়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে তলিয়ে গেছে শত শত ঘর বাড়ি।

বেইজিংয়ের মেনটুগু জেলার একটি ট্রেন স্টেশনে এবং তার আশপাশে আটকে থাকা মানুষের কাছে খাবার ও গরম কাপড় পৌঁছে দেয়ার জন্য ২৬ জন সেনাবাহিনীর একটি সামরিক ইউনিট ও চারটি হেলিকপ্টার কাজ করছে।

নদীগুলো বিপজ্জনক মাত্রা অতিক্রম করেছে। ২৫ বছর আগে নির্মিত হওয়ার পর বেইজিংকে প্রথমবারের মতো বন্যা সংরক্ষণ জলাধার ব্যবহার করতে হচ্ছে। সোমবার রাত পর্যন্ত, চীনের রাজধানী শহর ১০০ টিরও বেশি পাহাড়ী রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে।

গত  ৩১ জুলাই বেইজিংয়ের ফ্যাঙ্গাশন এবং মেনটুগু জেলায় অতিরিক্ত বৃষ্টির পানি মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি করেছে। এর ফলে তিনটি ট্রেন আটকা পড়েছিল। এছাড়াও কিছু এলাকায় যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

অন্যদিকে বেইজিংয়ের পাশ্ববর্তী হেবেই প্রদেশেও ঝড়বৃষ্টির কারণে রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে মেট্রোলোজিক্যাল কর্তৃপক্ষ, প্রদেশটিতে বন্যা ও ভূমিধ্বসের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি  

 

news