ভারত থেকে কিছু কূটনীতিককে ফিরিয়ে নিচ্ছে কানাডা


 কানাডীয় সংবাদমাধ্যম ন্যাশনাল পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক দপ্তরের মুখপাত্র জ্যঁ-পিয়েরা গডবাউট বলেছেন, ‘উত্তেজনা বৃদ্ধির জেরে বর্তমানে যে পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি। আমাদের কিছু কূটনীতিক সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি পাচ্ছেন।’

এদিকে কিছু কূটনীতিককে ফিরিয়ে নেওয়া হলেও ভারতে কানাডার কূটনৈতিক কার্যালয়গুলো খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন জ্যঁ-পিয়েরা গডবাউট। কাকে কাকে ফিরিয়ে নেওয়া হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। গডবাউট বলেন, ‘কর্মীদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা রক্ষা করতে এবং ভারতে কার্যক্রম চালিয়ে যেতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে কানাডা।’

 ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে কানাডার একটি হাইকমিশন রয়েছে। এ ছাড়া বেঙ্গালুরু, চণ্ডীগড় ও মুম্বাইয়ে দেশটির কনস্যুলেট রয়েছে। জ্যঁ-পিয়েরা গডবাউট বলেন, যেসব কানাডীয় কূটনীতিক ভারতে থেকে যাবেন, নয়াদিল্লি তাদের সুরক্ষায় কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করছে কানাডা সরকার।


ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি সাংবাদিকদের বলেছেন, ভারতে কানাডার কূটনৈতিক উপস্থিতি ভারতের যা আছে তার চেয়ে বড় এবং সেই অনুযায়ী কমানো দরকার। আমরা কানাডা সরকারকে জানিয়েছি যে কূটনৈতিক উপস্থিতিতে সমতা থাকা উচিত। তাদের সংখ্যা কানাডায় আমাদের তুলনায় অনেক বেশি... আমি অনুমান করছি সেখানে হ্রাস পাবে। 

এদিকে ভারত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়াকে বলেছে শিখ নেতাকে হত্যার ব্যাপারে কানাডা প্রমাণ উপস্থাপন করলে নয়াদিল্লি সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। ভারত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়াকেও জানিয়েছিল যে সেখানে ভারতীয় গ্যাংস্টারদের নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে পাওয়ার বিষয়ে সহযোগিতার জন্য কানাডাকে অনুরোধ করে কোনো ফলাফল আসেনি।

ভারতের তরফ থেকে বলা হচ্ছে শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যায় একজন ভারতীয়ের জড়িত থাকার প্রমাণ দিতে হবে। কানাডা বহিষ্কারের সময় অন্য দেশের গোয়েন্দা কর্মীদের নাম না দেওয়ার জন্য সমস্ত দেশ যে গোপনীয়তা অনুসরণ করে সে সার্বজনীন কোড ভঙ্গ করেছে।

দি প্রিন্টের প্রতিবেদনে বলা হয় ভারতের পাঠানো ২৬টি প্রত্যর্পণের অনুরোধ কানাডিয়ান কর্তৃপক্ষের কাছে মুলতুবি রয়েছে, যার মধ্যে কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপের সাথে সম্পর্কিত নয়। কানাডিয়ান সিস্টেম ইচ্ছাকৃতভাবে ভারতের সমস্ত আইনানুগ অনুরোধের জন্য ধীরে ধীরে চলে।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি 

news