রাশিয়ার সঙ্গে সার আমদানির বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছে আফ্রিকান দেশগুলো

 

পশ্চিম আফ্রিকার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী টিমোথি কাব্বা বুধবার প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে আরআইএ নভোস্তিকে বলেছেন যে সিয়েরা লিওন রাশিয়ার সাথে সার আমদানি নিয়ে আলোচনা করছে এবং এই ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর আশা করছে।

কাব্বা আরআইএ নভোস্তিকে বলেন, "আমরা আমাদের রাশিয়ান সমকক্ষদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছি এবং এই সম্পর্ককে আরও গভীর করার ইচ্ছা পোষণ করছি।"

রুশ গণমাধ্যম আরটির বিশ্লেষণে বলা হয়, নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে মন্ত্রী সিয়েরা লিওনে রাশিয়ান সার, প্রযুক্তি এবং বীজ আমদানির বিষয়ে একটি "ভাল আলোচনার" জন্য ২০২৩ সালের শেষের দিকে মস্কো সফরের পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন বলে জানা গেছে।

রাশিয়া-আফ্রিকা শীর্ষ সম্মেলনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান ইঙ্গিত দেয় যে, আফ্রিকায় খনিজ সারের বাজারের প্রায় ১০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে মস্কো। প্রতিবেদন অনুসারে, আফ্রিকান দেশগুলিতে রাশিয়ার খনিজ সার রফতানি গত পাঁচ বছরে দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে, যা ২০২২ সালে ১৬ মিলিয়ন টনে পৌঁছেছে।

রাশিয়ান ফার্টিলাইজার প্রোডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন- আরএফপিএ'র সভাপতি আন্দ্রেই গুরিয়েভ আগস্টে সেন্ট পিটার্সবার্গে দ্বিতীয় রাশিয়া-আফ্রিকা শীর্ষ সম্মেলনে বলেছিলেন যে দেশের খনিজ সার উৎপাদনকারীরা আগামী পাঁচ বছরে আফ্রিকান দেশগুলিতে তাদের রফতানি দ্বিগুণ করতে প্রস্তুত।

স্থলবেষ্টিত দেশে আসন্ন দুর্ভিক্ষ এড়ানোর প্রচেষ্টায় মার্চ মাসে মালাউইকে ২০ হাজার টন নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাসিয়াম সার দান করেন উরালকেম-উরালকালি।

গত মাসে, আফ্রিকান নেতারা নিষেধাজ্ঞার কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমুদ্র বন্দরে আটকা পড়া ২ লাখ টনেরও বেশি রাশিয়ান সার মুক্ত করার জন্য জাতিসংঘের হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছিলেন, যাতে আফ্রিকার দেশগুলিতে অবিলম্বে এবং বিনামূল্যে সরবরাহের অনুমতি দেওয়া হয়।

news