রুশ নৌবহর প্রধানকে হত্যার দাবি ইউক্রেনের

রয়টার্স অ্যাডমিরাল ভিক্টর সোকোলভের মৃত্যুর বিষয়ে প্রশ্ন করলেও রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তারা কোনো উত্তর দেয়নি। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, গত সপ্তাহে ক্রিমিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে তারা মস্কোর নৌবাহিনীর একজন অ্যাডমিরাল ও ৩৩ জন কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে। 

সোকোলভ কৃষ্ণ সাগরের নৌবহরের কমান্ডার এবং রাশিয়ার সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ নৌ কর্মকর্তাদের অন্যতম।

সোকোলভের মৃত্যু নিশ্চিত হলে সেটা হবে ক্রিমিয়ায় কিয়েভের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হামলার ঘটনা। ২০১৪ সালে এই অঞ্চলটি অধিগ্রহণ করে রাশিয়া।

ইউক্রেনের ‘স্পেশাল ফোর্স’ তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে জানায়, ‘রুশ কৃষ্ণ সাগর নৌবহরের সদর দপ্তরে চালানো হামলায় ৩৪ কর্মকর্তা নিহত হন, যাদের মধ্যে আছেন নৌবহরের রুশ কমান্ডার। আরও ১০৫ জন আহত হয়েছেন। সদর দপ্তরটি এমন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে একে আর মেরামত করা সম্ভব হবে না।’

তবে কীভাবে ইউক্রেনের স্পেশাল ফোর্স হতাহতের সংখ্যা গণনা করেছে, তা তাৎক্ষণিক ভাবে জানা যায়নি। রয়টার্স যুদ্ধক্ষেত্রের এসব তথ্য যাচাই করতে পারেনি। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের শুরু থেকেই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়িয়ে-কমিয়ে বলার প্রবণতা দেখিয়েছে উভয় পক্ষ।

এই হামলার পর রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, একজন সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। পরে সেই বিবৃতি পালটে বলা হয় তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। মন্ত্রণালয় আরও জানায়, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে।

তবে ইউক্রেনের এসব দাবি নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে সিএনএন। সংবাদমাধ্যমটি রাশিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্তব্য পায়নি। এ হামলার পর মস্কোর পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের এখন সেনা নিখোঁজ রয়েছে। 

সম্প্রতি ইউক্রেন ক্রিমিয়া দ্বীপে হামলার পরিমাণ অনেক বাড়িয়েছে। গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর আজ পর্যন্ত টানা ৫৭০ এর বেশি দিন ধরে চলছে দেশ দুইটির সংঘাত। এতে দুই পক্ষের বহু হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে যুদ্ধ বন্ধে এখন পর্যন্ত কোনো লক্ষণ নেই। উল্টো পূর্ব ইউক্রেনে দেশ দুইটির মধ্যে সংঘাতের পরিমাণ অনেক বেড়েছে।

news