বিদ্রোহ ঠেকাতে চীনের কাছে মিয়ানমার জান্তার ধর্ণা

মিয়ানমারের পরিস্থিতি ক্রমেই আরও অবনতি ঘটছে। যুদ্ধের তীব্রতা ক্রমশ বাড়ছে। এরইমধ্যে দেশের প্রায় অর্ধেক এলাকা দখলে নিয়েছে দেশটির বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী। তারা জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে একজোট হয়েছে।

কোণঠাসা হতে থাকা জান্তা পরিস্থিতিতে হাতে রাখতে চীনের দ্বারস্থ হয়েছে। দেশটিতে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত চেন হাইয়ের সঙ্গে বৃহস্পতিবার রাতে বৈঠক করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান শোয়েসহ কয়েক জন শীর্ষস্থানীয় সামরিক কর্মকর্তা।  

মিয়ানমারের সরকারি টিভি চ্যানেল গ্লোবাল নিউজ লাইট অব মিয়ানমারে প্রচারিত খবরে বলা হয়েছে, বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, দু’দেশের জন্য লাভজনক যৌথ প্রকল্প বাস্তবায়ন, সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা এবং আইনের শাসন বজায় রাখার বিষয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।  

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে অং সান সু চির দল ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি’র নেতৃত্বাধীন সরকারকে উৎখাত করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। তখন থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে নানা প্রান্তে শুরু হয় সশস্ত্র বিদ্রোহ।

সম্প্রতি উত্তর মিয়ানমারের শান এবং সাগিয়াং প্রদেশে সাফল্যের পরে পশ্চিমের চীন এবং রাখাইন প্রদেশেও হামলা শুরু করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী‘তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ (টিএনএলএ), ‘আরাকান আর্মি’ (এএ) এবং ‘মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি’ (এমএনডিএএ)-র নতুন জোট ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’।

চলতি মাসে ওই জোট আরও সম্প্রসারিত হয়েছে। ইতোমধ্যেই অন্তত পাঁচটি প্রদেশ দখল করেছে বিদ্রোহী জোটটির যোদ্ধারা। চীনগামী মূল সড়কটিও তাদের দখলে চলে গেছে। এর ফলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে জান্তা সরকার।

সম্প্রতি সংঘর্ষে দেশটির ২ লাখ ৬৬ হাজার মানুষ বাস্তচ্যুত হয়েছে। জাতিসংঘ বুধবার একথা একথা জানিয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব এন্থনি গুতেরেসের উপমুখপাত্র  ফারহান হক একে দেশটির সংঘাতের সবচাইতে মারাত্মক বিস্তার বলে বর্ণনা করেছেন।

তিনি বলেন, জান্তা সরকারের সেনা ও বিদ্রোহীদের মধ্যকার লড়াই এখন জনবহুল শহরগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে।  সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news