৭ অক্টোবর ইসরায়েলের গোয়েন্দা সারভারগুলো গাজায় নিয়ে যান যোদ্ধারা

 সোমবার একটি নতুন প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে, সেনাবাহিনীর ৮২০০ সিগন্যাল গোয়েন্দা ইউনিট ৭ অক্টোবর সকালে গাজা সীমান্তের কাছে কাজ করেনি। এর কারণ হলো গত দুই বছর আগেই সেখানে কর্মী কমানো হয়েছে। এছাড়াও অন্য সমস্যা ছিল।

পার্সটুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তেহরানে নিযুক্ত ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের প্রতিনিধি নাসের আবু-শারিফ আল-আকসা তুফান অভিযানের কথা উল্লেখ করে বুধবার এক অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তৃতায় বলেন, ‘ওই অভিযানে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা ইসরায়েল সরকারের কয়েকটি গোয়েন্দা সারভার গাজা উপত্যকায় নিয়ে আসে।’ তিনি বলেন, ‘ওই সারভারে ইসরায়েলের পক্ষে কাজ করা বহু গুপ্তচরের নাম রয়েছে যাদের মধ্যে কেউ কেউ ইরানের নাগরিক।’ এসব গুপ্তচর ইরানের অভ্যন্তরেই বসবাস করছে বলেও তিনি জানান। তবে এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেননি তিনি।

ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েলের দশকের পর দশক ধরে চলা নির্যাতন ও গণহত্যার প্রতিবাদে ৭ অক্টোবরের অভিযান চালান ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা। তারা গাজা সীমান্তের অদূরে ইসরায়েলের প্রায় ৫০টি সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালান। অভিযানে প্রায় ৪০০ সেনাসহ মোট ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়। হামাস ও জিহাদ আন্দোলনের যোদ্ধারা শত শত ইসরায়েলিকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে যান।

এ সম্পর্কে আবু-শারিফ আরো বলেন, আল-আকসা তুফান অভিযান ছিল ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের একটি বিশাল অর্জন। কারণ সেদিন ইসরায়েলসহ গোটা বিশ্বের সব গোয়েন্দা নেটওয়ার্কের ব্যর্থতা প্রমাণিত হয়েছে।

তিনি বলেন, ৭ অক্টোবরের আগে ইসরায়েলি নাগরিকরা মনে করত তাদের শক্তিশালী গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক তাদেরকে বাঁচিয়ে রাখবে। কিন্তু আল-আকসা তুফান অভিযান তাদের সে কল্পনার ফানুসকে মাটিতে নামিয়ে এনেছে।  সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news