যুদ্ধবন্ধে হামাসের ৩ শীর্ষ নেতাকে হত্যা করতে চায় ইসরায়েল

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়েভ গ্যালান্ট তেল আবিব অফিসের দেওয়ালে একটি পোস্টার ঝুলিয়ে রেখেছেন। তাতে ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলাকারী হামাসে কমান্ডারদের পিরামিড আকৃতির মুখচ্ছবি স্থান পেয়েছে। 

পোস্টারের সর্বনিম্নে রয়েছে হামাসের ফিল্ড কমান্ডাররা। আর সর্বোচ্চে রয়েছে মোহাম্মাদ দাইফসহ দলটির শীর্ষ কমান্ডাররা। দাইফকে ৭ অক্টোবরের আক্রমনের মূল পরিকল্পনাকারী মনে করা হয়।

গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর পোস্টারটি কয়েকবার পুনর্মুদ্রণ করা হয়েছে। নিহত কমান্ডারদের ওপর ক্রোস চিহ্ন এঁকে দেওয়া হয়েছে। তবে ইসরায়েলের হামলার তালিকায় তিন শীর্ষ কমান্ডার এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছেন। তারা হলে হামাসের সামরিক শাখা ইজদিন আল-কাসাম ব্রিগেডসের প্রধান দাইফ(৫৮), তার পরের ব্যক্তি মারওয়ান ইশা (৫৮)  এবং গাজার হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার(৬১)। 

গাজায় কাতারের মধ্যস্থতায় ৭ দিন চলা যুদ্ধবিরতি শুক্রবার ভেঙ্গে পড়ে। ইসরায়েলিরা কি ভাবছে সে সম্পর্কে সুপরিচিত মধ্যপ্রাচ্যে চারটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, এই শীর্ষ তিন নেতাকে হত্যা বা গ্রেপ্তার করার আগে ইসরায়েল গাজায় তার হামলা বন্ধ করবে না।

গাজায় ইসরায়েলি প্রথম দফায় ৭ সপ্তাহের হামলায় ১৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এনিয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এই তিন নেতার সমন্বয়ে গঠিত সামরিক কাউন্সিল ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলে ওই অভিযান চালায়। ইসরায়েলের ৭৫ বছরের ইতিহাসে হামাসের এ অভিযান ছিল সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী। সেদিন হামাসের হাতে নিহত হয় ১২০০ ইসরায়েলি এবং জিম্মি হয় ২৪২ জন।

হামাসের এই তিন নেতা সুড়ঙ্গে অবস্থান করে জিম্মি ও বন্দি বিনিময়ের আলোচনায় নেতৃত্ব প্রদান করেন বলে তিনটি হামাস সূত্রে জানা গেছে।

তিনটি আঞ্চলিক সূত্র জানায়, এ তিন নেতাকে হত্যা বা গ্রেপ্তার করতে পারলে ইসরায়েল হয়ত সর্বাত্মক হামলা থেকে সরে এসে জঙ্গী বিরোধী হামলায় শুরু করবে। তখন নেতানিয়াহু হয়ত এ কথা বলার সুযোগ পাবেন যে, হামাসের সরকার পরিচালনার ক্ষমতা ও সামরিক শক্তি ধ্বংস করতে গাজায় চালানোর তার চলমান হামলার লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে।

গত সপ্তাহে গ্যালান্ট বলেন, হামাসের এনে তারা বেঁচে থাকার বাড়তি কিছু সময় পেয়েছেন। তারা বিশ্বের যেখানেই থাকুন না কেন মোসাদ তাদেরকে খুঁজে বের করে হত্যা করবে। এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে ইসরায়েল সরকার কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

news