গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে দক্ষিণ গাজা, যুদ্ধবিরতি আলোচনা বন্ধ করল ইসরায়েল

প্রথম দফায় ৭ সপ্তাহের টানা ইসরায়েলি নৃশংস হামলায় ইতিমধ্যে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজার উত্তরাঞ্চল। সাময়িক যুদ্ধবিরতি শেষে এবার দক্ষিণ গাজাও গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। তারা সেখানকার লোকজনকে আরও দক্ষিণে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। যুদ্ধবিরতির পর হক দুই দিনের হামলায় প্রায় ২০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। 

যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর গাজায় ৪০০টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানোর কথা জানিয়েছে ইসরায়েল। এর মধ্যে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিসে সবচেয়ে বেশি হামলা হয়েছে। বড় ধরনের হামলার অংশ হিসেবে শুধু শুক্রবার দিবাগত রাতেই ৫০টির বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে।

উত্তর গাজায় হামলার সময় বাসিন্দাদের আরও দক্ষিণ দিকে সরে যাওয়ার কথা বলেছিল ইসরায়েল। সেখানকার বাসিন্দাদের বেশির ভাগই তখন দক্ষিণাঞ্চলে আশ্রয় নেয়। এখন দক্ষিণ গাজায়ও ইসরায়েল হামলা জোরদার করেছে। গাজার বাসিন্দাদের প্রশ্ন, এখন তারা কোথায় যাবে?

গাজায় ইসরায়েলের টানা ৪৭ দিনের হামলার পর ২৪ নভেম্বর প্রথম দফায় চার দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এ যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করে কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্র। এরপর দুই দফায় মোট তিন দিন বাড়ানো হয় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ। যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে আন্তর্জাতিক চাপ ও হামাসের পক্ষ থেকে নতুন করে প্রস্তাব দেওয়া সত্ত্বেও রাজি হয়নি ইসরায়েল। গত শুক্রবার সকাল থেকে গাজায় আবার হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।

যুদ্ধবিরতিতে শুরু থেকেই আগ্রহ ছিল না ইসরায়েলের। শনিবার ইসরায়েল  যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময়ের আলোচনা থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে। আলোচনায় ‘অচলাবস্থার’ কথা জানিয়ে কাতারের দোহা থেকে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রতিনিধিদলকে দেশে ফিরতে বলা হয়েছে।

news