প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হামলায় মিয়ানমারের জান্তা হারালো আরো একটি শহর, অনেকগুলো ঘাঁটি

শুধু শহর ও ঘাঁটিই হারায়নি, সেনাবাহিনীর দুটি সদর দপ্তরও হারিয়েছে জান্তা বাহিনী। একইসঙ্গে এক সপ্তাহে ১০০ সেনা হারিয়েছে তারা। পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) ও জাতিগোষ্ঠীর সশস্ত্র গ্রুপগুলোর তীব্র হামলার মুখে জান্তা বাহিনী পর্যুদস্ত হচ্ছে গোটা মিয়ানমারজুড়েই।

উল্লেখ করার বিষয় হলো সশস্ত্র জাতিগোষ্ঠীগুলো সামরিক জান্তার সঙ্গে ন্যাশানওয়াইড সিজফায়ার এগ্রিমেন্ট (এনসিএ) যুদ্ধবিরতির যে চুক্তি করেছিল, তারা সেই চুক্তি থেকে সরে এসে জান্তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। এখন সর্বাঙ্গীন যুদ্ধ চলছে কায়া, শান, রাখাইন ও কাচিন রাজ্যে। 

কারেন্নি ন্যাশনালিটিজ ডিফেন্স ফোর্স (কেএনডিএফ) দাবি করেছে, তারা রোববার কারেন্নি রাজ্যের হাপাসাওয়াং টাউনশিপের মওচি শহরের পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। শহরটির জান্তা সেনারা ঘাঁটি এবং সামরিক সদরদপ্তর থেকে পালিয়েছে। শনিবার কেএনডিএফ দুটি জান্তা ঘাঁটি দখল করার পরই জান্তা সেনারা পালায়। মওচি শহরটি ঔপনিবেষ আমল থেকে টিন ও টাংস্টেন নিষ্কাশনের বৃহত্তম কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। 

পা-ও ন্যাশনাল লিবারেশন অর্গেনাইজেশন (পিএনএলও) শুক্রবার বলেছে, দক্ষিণ শান রাজ্যের হিসিশেঙ শহরে জান্তাদের লাইট ইনফেন্ট্রি ব্যাটেলিয়নের ঘাঁটি দখল করে নিয়েছে তারা। গত সপ্তাহে শহরটির নিয়ন্ত্রণও হাতে নিয়েছে। তারা ২০১৫ সালে সরকারের সঙ্গে এনসিএ চুক্তি করেছিল। সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেও তারা জান্তাদের সঙ্গে সেটা মেনে চলেছিল। 

ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের শক্তিশালী গ্রুপ আরাকান আর্মি (এএ) রোববার রাখাইন রাজ্যের মিয়াবিয়া টাউনশিপে অবস্থিত জান্তাদের সদরদপ্তরটি দখল করে নিয়েছে। আকাশ ও জলপথে হামলা চালিয়েও জান্তা বাহিনী আরকান আর্মির হামলার মুখে টিকতে পারেনি। 

গত ১৩ নভেম্বর রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মির হামলা শুরু হওয়ার পর রাখাইন রাজ্যের দুটি শহর এবং ১৬০টি সেনা ঘাঁটি তারা দখলে নিয়েছে। এছাড়া শিন রাজ্যের পার্শ্ববর্তী পালেতওয়া টাউনশিপেরও দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি।     

news