কে ছিলেন গণহত্যার প্রতিবাদে আগুন আত্মহুতিদাতা এয়ারম্যান বুশনেল
গাজায় গণহত্যা ও ধ্বংস-তান্ডবের ‘নজীরবিহীন তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ওয়াশিংটন ডিসির ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে নিজের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন বিমান সেনা অ্যারন বুশনেল। ‘আমি কোনভাবে এ গণহত্যায় জড়িত হতে চাই না।’ ‘ফিলিস্তিন স্বাধীন করো’ শ্লোগান দিয়ে তরল পদার্থ নিজের শরীরে ছিটিয়ে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। এ ঘটনায় মারা গেছেন এ বিমান সেনা।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে স্থানীয় সময় গত রোববার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। ২৫ বছর বয়সী অ্যারন বুশনেল টেক্সাসের বাসিন্দা। দগ্ধ অবস্থায় সেখানকার একটি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। পরে সোমবার তিনি মারা যান।
মার্কিন বিমান বাহিনীর মুখপাত্র রোজ রিলে নিশ্চিত করেন যে, অ্যারন বুশনেল মার্কিন বিমান বাহিনীতে কর্মরত একজন সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি ওয়েস্টার্ন গভর্নর্স ইউনিভার্সিটি থেকে সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ব্যাচেলার ডিগ্রির একজন ছাত্রও ছিলেন। তার লিংকডইন একাউন্ট থেকে একথা জানা গেছে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে তিনি মার্কিন বিমানবাহিনীতে ডিলেইড এন্ট্রি প্রোগ্রাম সদস্য হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এরপর ২০২০ সালের মে মাসে অ্যারন বুশনেল ব্যাসিক এন্ড টেকনিক্যাল ট্রেইনিং সম্পন্ন করেন। ক্লাইয়েন্ট সিস্টেমস টেকনিশিয়ান শেষ করে তিনি সাইবার সিকিউরিটির প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এরপর অ্যারন বুশনেল ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে তিনি টপ-অফ-ফ্লাইট এন্ড টপ-অফ-ক্লাস এর ওপর গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি লাভ করেন।
অ্যারন বুশনেল দুই বছর তিন মাস আইটি অবকাঠামো পর্যবেক্ষণ ও এ বিভাগের তদারকির দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের সান এন্টোনিও বিমান ঘাঁটিতে বিমান বাহিনীর ডেভওপস ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভস্ট্রিম ভিডিওতে ’আমি আর গণহত্যায় জড়িত থাকতে চাই না’ ঘোষণা দিয়ে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন। গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যায় যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার নজীরবিহীন প্রতিবাদ জানান এই বিমান সেনা।
![news](https://www.nbs24.org/walton-ads-april.gif)