মণিপুর সহিংসতায় নিহত ২১৯, রাজস্ব ক্ষতি ৮০০ কোটি রুপির

বুধবার এ তথ্য জানিয়েছেন গভর্নর অনুসুইয়া উইকে। তিনি উল্লেখ করেন, ২০২৩ সালের মে মাস থেকে এ পর্যন্ত - নয় মাসে হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং অনেকের জীবন ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে।

উইকে বলেছেন, সংহিসতার কারণে রাজ্যের প্রায় এক লাখ ৮৭ হাজার ১৪৩ জনকে আটক করা হয়েছে এবং পরে বৈধ আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের অনেককেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

কর্মকর্তারা বলছেন, মাসের পর মাস কুকি ও মেইতিদের মধ্যে গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব সন্ত্রাসীদের জন্য সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। এতে উদ্বেগ বাড়ছে। কিন্তু সহিংসতা থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

১২তম মণিপুর অ্যাসেম্বলির পঞ্চম অধিবেশনে বক্তৃতায় উইকে রাজ্যটিতে শান্তি ফেরানো, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে তোলা, অর্থনীতির উপর সহিংসতার প্রভাব নিয়ে কথা বলেছেন।

তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক হলো সহিংসতায় ২১৯ জন প্রাণ হারিয়েছে। যারা মারা গেছেন খোঁজ-খবর নিয়ে তাদের পরিবারকে ১০ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। পরিবারের কাছে মরদেহও হস্তান্তর করা হয়েছে।’

উইকে অধিবেশনে জানান, রাজ্যটিতে কেন্দ্রীয় সরকারের ১৯৮ কোম্পানি সশস্ত্র পুলিশ ফোর্স ও ১৪০ কলাম সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সন্ত্রাসীরা যেসব অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছিল তার বেশির ভাগই নিয়মিত তল্লাশির মাধ্যমে উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘স্বচ্ছ ও স্বাধীন তদন্তের জন্য ২৯টি মামলা সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (সিবিআই) দেওয়া হয়েছে এবং একটি মামলা দেওয়া হয়েছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশনকে (এনআইএ)। আরো চারটি মামলা সিবিআইকে এবং পাঁচটি এনআইএ-কে দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

news