তবে কি ভ্লাদিমির পুতিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরও প্রেসিডেন্ট!

আমেরিকায় ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতির জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে দায়ী করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যে বক্তব্য দিয়েছেন তাকে হাস্যকর বলে উড়িয়ে দিয়েছে মস্কো। জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার উপ স্থায়ী প্রতিনিধি দিমিত্রি পুলিয়ানস্কি বলেছেন, “দৃশ্যত রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও শাসন করছেন কারণ, তিনি ওই দেশের খাদ্যদ্রব্য ও জ্বালানি তেলের ওপর ট্যাক্স বসিয়েছেন!”

এর আগে শুক্রবার প্রেসিডেন্ট বাইডেন তার দেশে জ্বালানী তেল ও খাদ্যদ্রব্যসহ নিত্যপণ্যের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ার জন্য প্রেসিডেন্ট পুতিনকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, “আজকের মূল্যস্ফীতি আমেরিকানরা যা ইতোমধ্যে জানে সে কারণেই হয়েছে। পুতিনের মূল্যবৃদ্ধি আমেরিকাকে কঠোর আঘাত করছে। ” পুতিনের প্রতি ইঙ্গিত করে বাইডেন আরো বলেন, “কোন স্বৈরশাসক যুদ্ধ ঘোষণা করার কারণে কিংবা গণহত্যা পরিচালনা করার প্রভাবে সবার পারিবারিক আয় বা ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়া একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।”

এ সম্পর্কে দিমিত্রি পুলিয়ানস্কি এক টুইটার বার্তায় লিখেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতির জন্য রাশিয়াকে দায়ী করা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি আরো লিখেছেন, “তবে কি প্রেসিডেন্ট পুতিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও শাসন করছেন? কারণ, দেখেশুনে মনে হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের নিত্যপণ্যের ওপর পুতিনই অতিরিক্ত ট্যাক্স আরোপ করেছেন!”

জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার উপ স্থায়ী প্রতিনিধি তার টুইটার বার্তায় আরো বলেন, “এ ধরনের বেহুদা কথাবার্তা বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।”

সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে খাদ্য, জ্বালানি থেকে শুরু করে সবকিছুর দামই এখন আকাশছোঁয়া। ব্যুরো অব লেবার স্ট্যাটিস্টিকস বলছে, গত মে মাসে মার্কিন ভোক্তা মূল্যসূচক এক লাফে ৮ দশমিক ৬ শতাংশে স্পর্শ করেছে। গত বছরের মে মাসের তুলনায় চলতি বছরের মে মাসে দেশটিতে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে ১০ শতাংশ  যা গত ৪০ বছরের ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা। খবর পার্সটুডে/এনবিএস/২০২২/একে

news