গাজায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ল্যাভেন্ডার দিয়ে নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী

৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনী বোমা হামলা শুরু করেছিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিচালিত ডাটাবেইজের উপর ভিত্তি করে। এক পর্যায়ে ৩৭,০০০ সম্ভাব্য হামাস টার্গেট চিহ্নিত করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা(এআই)। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী যার নাম রেখেছে ‘ল্যাভেন্ডার’। 

ইসরায়েলের একটি পত্রিকা এবং একটি খবরের ওয়েবসাইট এবার তাদের তদন্তমূলক একটি প্রতিবেদনে এই দাবি করেছে। 

হামাস-বিরোধী অভিযানে সরাসরি যুক্ত ছিলেন, এমন ছয় ইসরায়েলি সেনাকে উদ্ধৃত করে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ল্যাভেন্ডার’-এর কাজই ছিল সন্দেহভাজন হামাস যোদ্ধা ও তাদের নাম ও ঠিকানা খুঁজে বার করে তালিকা তৈরি করা। হামাস-বিরোধী অভিযানে এই যন্ত্রের বানানো তালিকাতেই অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা।
 

ওই রিপোর্টে গোয়েন্দা সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে দাবি করা হয়েছে, যুদ্ধের একেবারে প্রথম কয়েক সপ্তাহে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তাদের অনুমতি দেয়া হয়েছিল বিপুল সংখ্যক সাধারণ ফিলিস্তিনি নাগরিককে হত্যা করার। সূত্র: গাডিয়ান 

রিপোর্টটিতে এ কথাও বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সেনা অফিসারদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তৈরি ওই তালিকার উপরে এমন ভাবে ভরসা করতে বলা হত, ‘যেন কোনও মানুষ এই সিদ্ধান্তগুলি নিচ্ছে’। 

এ কারণে আসল গোয়েন্দা রিপোর্টের উপর আস্থা না রেখেই যন্ত্রের তৈরি সিদ্ধান্তেই ইসরায়েলি বাহিনী একের পর এক হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনিদের উপরে। 

দুইটি সূত্রের উদ্ধতি দিয়ে গার্ডিয়ান জানায়, যুদ্ধ শুরুর প্রথম কয়েক সপ্তাহে নিম্ন পর্যায়ের হামাস যোদ্ধাকে হত্যার ক্ষেত্রে ১৫ থেকে ২০ সাধারণ ফিলিস্তিনিকে হত্যার অনুমতি দেয়া হয়েছিল ইসরায়েলি বাহিনীকে। 

কারও বিরুদ্ধে হামলা চালানোর জন্য ইসরায়েলি সেনা মাত্র ২০ সেকেন্ড সময় নিত। ওই সময়ের মধ্যেই তারা বোঝার চেষ্টা করতে যে যাকে নিশানা করা হচ্ছে, সে এক জন পুরুষ। কিন্তু এ ক্ষেত্রে যন্ত্রের ভুল হওয়ার সম্ভাবনা ছিল পুরো মাত্রায়। আর সে জন্যই শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কোনও যোদ্ধা নয়, কখনও কখনও বোমা ফেলে হত্যা করা হয়েছে পুরো পরিবারকেই।
 

৭ অক্টোবর ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে হামাসের যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ৩৩ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যার একটা বড় অংশ শিশু ও মহিলা। 

news