বিদ্রোহী ঠেকাতে এবার রোহিঙ্গাদের সাহায্য চায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী

মুসলিম রোহিঙ্গাদের উপর অত্যাচার নির্যাতন ও গণহত্যা চালানো মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এখন তাদের সহায়তা চাচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। সোমবার গণমাধ্যমটি জানায়,  রাখাইন রাজ্যে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের সাক্ষাৎকার থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাখাইন রাজ্যে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের অন্তত ১০০ জনকে সাম্প্রতিক সপ্তাহে যুদ্ধরত জান্তার পক্ষে লড়াই করার জন্য নিয়োগ দেয়া হয়। এছাড়াও পরিবর্তন করা হচ্ছে তাদের নামও।

তিন সন্তানের জনক ৩১ বছর বয়সী রোহিঙ্গা ব্যক্তি মোহাম্মদ বলেন, ‘আমি ভীত ছিলাম, কিন্তু আমাকে যেতে হয়েছিল।’ তিনি রাখাইনের রাজধানী সিত্তওয়ের কাছে বাও দু ফা ক্যাম্পে থাকেন। গত এক দশক ধরে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত অন্তত দেড় লাখ রোহিঙ্গা আইডিপি ক্যাম্পে থাকতে বাধ্য হয়েছে।

বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গার সঙ্গে গণমাধ্যমটি জানতে পারে, সেনা কর্মকর্তারা ক্যাম্পে এসে তরুণ রোহিঙ্গাদের সেনাবাহিনীতে যোগদানের জন্য নির্দেশ দিচ্ছে। 

 ২০১২ সালে রাখাইন রাজ্যের মিশ্র সম্প্রদায় থেকে কয়েক হাজার রোহিঙ্গাকে বিতাড়িত করা হয়েছিল। আর তাদেরকে নির্ধারিত এসব শিবিরে বসবাস করতে বাধ্য করা হয়েছিল। পাঁচ বছর পর ২০১৭ সালের আগস্টে, সেনাবাহিনী তাদের বিরুদ্ধে নৃশংস জাতিগত নিধন অপারেশন শুরু করে। সেই নিধন অপারেশনে হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছিল। ধর্ষণ করা হয় তাদের নারীদের। এছাড়াও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাদের গ্রাম। ওই সময় অন্তত ৯ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।

রোহিঙ্গাদের প্রতি তাদের এমন নিষ্ঠুর আচরণের জন্য মিয়ানমার এখন হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার বিচারের মুখোমুখি।

ইয়াহুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি আরাকান আর্মির কাছে রাখাইনে বিশাল এলাকা হারানোর পর নির্যাতনকারী সেই সেনাবাহিনী এখন রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক নিয়োগ নিচ্ছে।

news