ইরানি আক্রমণের পর উচ্চ সতর্কতা ইসরায়েল

ইসরায়েল অবশ্য আভাস দিয়েছে, এখনই তারা নিজ থেকে কোন পাল্টা হামলা চালাবে না। তবে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের কোন পাল্টা হামলায় অংশ নেবে না।

ইসরায়েলের ওপর ইরানের নজীরবিহীন ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা  নেওয়া যায় তা নিয়ে দেশটি চিন্তাভাবনা করছে। তবে এখনই তারা নিজ থেকে এমন হামলা না চালালেও তাদের সামরিক বাহিনী উচ্চ সতর্কতা বজায় রাখবে। তাদের নেতারা আক্রমণাত্মক ও আত্মরক্ষামূলক উভয় সতর্কতা বজায় রাখার বিষয় অনুমোদন করেছেন। 

ইসরায়েলের তিন সদস্যের ওয়ার ক্যাবিনেটের দুইজন এক বিবৃতিতে বলেছেন, তাদের দেশে ইরানের প্রথম সরাসরি হামলার দীর্ঘমেয়াদে পাল্টা ব্যবস্থার পর্যালোচনা করছেন। তবে রোববার অনেক রাত পর্যন্তু প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এ ব্যাপারে কোন আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। 

মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, ইরানের শতাধিক ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র যদি তারা বাধাদান ও ধ্বংস না করতেন তাহলে ইসরায়েলে ভয়াবহ ধ্বংসের সৃষ্টি হতো। আর তাতে আঞ্চলিক যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার বিপুল শঙ্কা ছিল।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়েভ গ্যালান্ট বলেছেন, ইসরায়েল ও মিত্র দেশগুলো সফলভাবে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে। যা তাদেরকে ইরানের বিরুদ্ধে নতুন ‘কৌশলগত মিত্রজোট’ গঠনের সুযোগ এনে দিয়েছে। এরআগে ইসরায়েলি যুদ্ধমন্ত্রিসভার সদস্য বেনি গান্টজ বলেন, ইসরায়েল একটি আঞ্চলিক জোট গড়ে তুলবে এবং উপযুক্ত সময়ে ও সুবিধাজনক কৌশলে ইরানের এ হামলার যুৎসই জবাব দেওয়া হবে। 

news