ইরাকের আবু গ্রাইব কারাগারে বন্দি নির্যাতন মামলার বিচার শুরু হচ্ছে শেষ পর্যন্ত

যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার একটি ফেডারেল আদালতে সোমবার (১৫ এপ্রিল) আবু গ্রাইব কারাগারে নির্যাতন মামলার বিচার শুরু হতে যাচ্ছে শেষ পর্যন্ত। 

তবে নির্যাতনকারী মার্কিন সেনাদের এ মামলায় বিবাদী না করে সিএসিআই নামে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ভাড়া করা এক বেসরকারি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগের মামলা হয়। আল শিমারি বনাম সিএসিআই নামে ওই মামলাটির শুনানী শুরু হচ্ছে ২০ বছর পর।

শেষ পর্যন্ত বিচার শুরু হচ্ছে কারণ সেনাদের বিপক্ষে নয় এটি একটি সামরিক ঠিকাদারকে লক্ষ্য করে ঘটছে। মার্কিন আদালতগুলো বারবার ফেডারেল সরকারের বিরুদ্ধে একই ধরনের মামলা খারিজ করেছে কারণ ১৯৪৬ সালের একটি আইন যা যুদ্ধের সময় উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য মার্কিন বাহিনীর আইনি সুরক্ষা দেয়। 

২০০৩ সালের ২০ মার্চ ইরাকে আগ্রাসন শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। আগ্রাসনের  পর বন্দিদের  রাজধানী বাগদাদের পশ্চিমে যুক্তরাষ্ট্রের কুখ্যাত আবু গ্রাইব কারাগারে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করা হয়।  মার্কিন সেনাদেরই তোলা বন্দি নির্যাতনের কিছু ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়ে যায়। মূলত এরপরই বুশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে সমালোচনা শুরু হয়।

কারাগার কক্ষে বন্দিদের নগ্ন করে গাদাগাদি করে রাখা হত এবং হাতকড়া পড়ানো বন্দিদের বৈদ্যুতিক শক দেয়া হতো। তাদের মাথা বেঁধে পানিতে চোবানো হত বলেও অভিযোগ ওঠে।

বিষয়টি নিয়ে সে বছর  যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে আবু গ্রাইবে বন্দিদের ওপর নির্যাতনের ৪৪টি ঘটনা বেরিয়ে আসে। কিন্তু সেই তদন্তে কাউকে অভিযুক্ত করা  হয়নি।

নির্যাতনের শিকার বন্দিদের পক্ষে মামলাটি করে সিসিআর নামে অধিকার গোষ্ঠী। মামলার অভিযোগে বলা হয়, আবু গ্রাইব কারাগারে বন্দিদের ভয়াবহ নিপীড়ন ব্যবস্থার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সিএসিআই ইনকর্পোরেশন। কারাগারে বন্দিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদেরকে ভাড়া করে মার্কিন কর্তৃপক্ষ।

news