সাগরের তলদেশে সামরিক যাদুঘর তৈরি করলো জর্ডান
নিচে বিশেষ এক জাদুঘর তৈরি করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ জর্ডান। লোহিত সাগরের তলদেশে ৫ থেকে ২৮ মিটার গভীরতায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে সাজানো হয়েছে সাঁজোয়া যান, ট্যাংকসহ যুদ্ধে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম। যা দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে স্কুবা ডাইভারদের কাছে। নিজের দেশের ভ্রমণ পিপাসুদের পাশাপাশি আকৃষ্ট করছে বিদেশি পর্যটকদেরও।
মূলত পর্যটক আকর্ষণে সমুদ্রের নিচে এই সামরিক যাদুঘর গড়ে তুলেছে জর্ডান। জাদুঘরটিতে প্রদর্শিত হচ্ছে ১৯টি যুদ্ধ যান ও অন্যান্য সমরাস্ত্র। সত্যিকার যুদ্ধের ময়দানের কৌশলগত গঠনের অনুকরণেই সাজানো হয়েছে সেগুলোকে। কর্তৃপক্ষ জানায়, জাদুঘরে যানগুলো পৌঁছানোর প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে মাত্র ১ মাসে। যানগুলোকে ডোবাতে সময় লেগেছে ৭ দিন। ট্যাংক- সাজোয়া যান ছাড়াও রয়েছে- অ্যাম্বুলেন্স, সামরিক ক্রেন, ট্রুপ ক্যারিয়ার, অ্যান্টি-এয়ারক্রাফ্ট।
পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হিসেবে গড়ে তুলতে ৫ থেকে ২৮ মিটার গভীরতায় বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে সাজানো হয়েছে ভিন্নধারার এই জাদুঘরটি। সম্প্রতি যা পরিণত হয়েছে এ অঞ্চলের স্কুবা ডাইভারদের মূল আকর্ষণে। দেশীয়দের পাশাপাশি বাড়ছে বিদেশি পর্যটকদের আনাগোনাও।
বিশেষ এই জাদুঘর যাতে সামুদ্রিক পরিবেশে ক্ষতিকর না হয়- নিশ্চিত করা হয়েছে সেটিও। বর্তমানে যুদ্ধে আর ব্যবহৃত হচ্ছে না এমন সব যানকেই বেছে নেয়া হয়েছে জাদুঘরটির জন্য। বিস্ফোরক বা তেজস্ক্রিয় উপাদান পুরোপুরিভাবে নিষ্ক্রিয় করেই সেগুলোকে পাঠানো হয়েছে সাগরের তলদেশে।
২০১৯ সালে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মোচিত হয় এই জাদুঘরটি। জর্ডানের এই জাদুঘরটিই সমুদ্রের তলদেশে নির্মিত বিশ্বের প্রথম সামরিক জাদুঘর। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি
![news](https://www.nbs24.org/walton-ads-april.gif)