পাকিস্তান ভাঙ্গার জন্যে আসল গাদ্দার জেনারেল ইয়াহিয়া খান: ইমরান খান

টুইটারে ইমরান খানের পোস্ট করা এই ভিডিও নিয়ে পুরো পাকিস্তানে তোলপাড় চলছে গত দুইদিন ধরে। তিনি জানিয়েছেন, পাকিস্তানের বিভক্তির জন্য, পাকিস্তান প্রশাসন শেখ মুজিবুর রহমানকে দায়ী করে, কিন্তু দেশের বাঙালি জনগোষ্ঠীকে হত্যা নির্যাতন ধর্ষণ করে দেশকে বিভক্ত করার আসল গাদ্দার জেনারেল ইয়াহিয়া খান। সূত্র: ডন
জেনারেলরা এখনো পাকিস্তানে সেই ধারা অব্যাহত রেখেছে। শুধু তাই নয় ইমরান খান ১৯৭১ সালের যুদ্ধ বিষয়ে সত্যটা জানতে পাকিস্তানের প্রত্যেকটি নাগরিককে বিচারপতি হামুদুর রহমান কমিশন রিপোর্ট পড়তে বলেছেন।

ইমরান বলেন, প্রত্যেক নাগরিকের উচিত হামুদুর রহমান কমিশনের রিপোর্ট অধ্যয়ন করা এবং কে প্রকৃত বিশ্বাসঘাতক, জেনারেল ইয়াহিয়া খান বা শেখ মুজিবুর রহমানকে জানা। সেই সময়ে ‘একজন’ ব্যক্তি সিদ্ধান্ত নিত এবং আজও ‘একজন’ ব্যক্তি খারাপ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।

তবে  পিটিআই নেতা এবং এমএনএ ব্যারিস্টার গওহর আলী খান ডিজিটাল নিউজ আউটলেট আজাদ উর্দুতে একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ১৯৭১ সালের সাথে আমরা যে প্রেক্ষাপট এবং তুলনা করেছি তা একটি রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ছিল এবং এটি সেনাবাহিনী সম্পর্কে কিছুই নয়। ইমরান খানের এ পোস্টটিকে ‘রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে’ দেখা উচিত।

ইমরানের অ্যাকাউন্টটি পরিচালনা করে তার সোশ্যাল মিডিয়া টিম। বর্তমানে তিনি রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে রয়েছেন। 

পিপিপি সিনেটর শেরি রেহমান বলেছেন ইমরান খানের পোস্টটি ‘উদ্বেগজনক’ এবং ইমরান খানকে শেখ মুজিবের সাথে তুলনা করে পিটিআই ‘বিরামহীন ঘৃণা ও উসকানির বর্ণনায় ইন্ধন যোগাচ্ছে।’ 

 প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ ইমরান খানকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘ইমরান খানের কুৎসিত মুখ উন্মোচিত হয়েছে। তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মানহানি করেছেন।’

রাজনৈতিক ভাষ্যকর মোস্তফা নওয়াজ খোখার বলেন, পোস্টটি ‘আজকের যুবকদের বিভ্রান্ত করবে।’ 

এ ধরনের সমালোচনার জবাবে ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পিটিআই বলেছে, ইমরান খান শুধুমাত্র লোকদের প্রতিবেদনটি পড়তে বলেছেন এবং নিজেকে কারও সাথে তুলনা করেননি। শুধুমাত্র ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়ার জন্য ১৯৭১ সালের ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে। 

ব্যারিস্টার গওহর আলী আরো বলেন, কখনও কখনও জিনিস অতিরঞ্জিত হয়। এই [পোস্টের] সাথে ইমরান খানের কোনো সম্পর্ক নেই কারণ তিনি এর বিষয়বস্তু বা অন্যান্য জিনিস দেখেননি। তিনি কারাগারে এবং তার সোশ্যাল মিডিয়া টিমের প্রতিটি ভিডিও বা প্রসঙ্গ অনুমোদন করেন না।  সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news