ভারতের সাথে সাম্প্রতিক সংঘাতের পর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জনপ্রিয়তা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্যালাপ পাকিস্তানের জরিপ অনুযায়ী, ৯৬% পাকিস্তানি মনে করেন তাদের দেশ এই সংঘাতে জয়ী হয়েছে। তবে বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন যে এই জনসমর্থন সাময়িক হতে পারে।
প্রধান তথ্য:
৮২% পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কার্যক্রমকে "অত্যন্ত ভালো" বলে মূল্যায়ন করেছেন
৯২% বলেছেন সংঘাতের পর সেনাবাহিনীর প্রতি তাদের ধারণা ইতিবাচকভাবে পরিবর্তিত হয়েছে
২০২৩ সালের মে মাসে ইমরান খানের সমর্থকদের বিক্ষোভে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছিল
ইতিহাসের প্রেক্ষাপট:
পাকিস্তান সেনাবাহিনী দীর্ঘদিন ধরে দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত। ২০২৩ সালে ইমরান খানের গ্রেপ্তারের পর সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সংঘাতে ভারতের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় তাদের জনসমর্থন বেড়েছে।
বিশ্লেষকদের মত:
লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের মারিয়া রশিদ বলেন, "সেনাবাহিনী নিজেদেরকে দেশের রক্ষক হিসেবে উপস্থাপন করে। কিন্তু অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে যায়।"
ভবিষ্যত সম্ভাবনা:
পাঞ্জাব প্রদেশে সবচেয়ে বেশি সমর্থন দেখা গেছে
খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তানে ভিন্ন মত থাকতে পারে
ইমরান খানের সমর্থকদের মনোভাব এখনও স্পষ্ট নয়
রাজনৈতিক ভাষ্যকার আরিফা নূর বলেন, "এই জনসমর্থন স্থায়ী হবে কিনা তা ভারতের ভবিষ্যৎ পদক্ষেপের উপর নির্ভর করবে।"
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় তাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।


