ট্রাম্প প্রশাসনের নেতৃত্বে মার্কিন ভিসানীতিতে এক নতুন মোড় দেখা যাচ্ছে। এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী নাগরিকদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করলে সংশ্লিষ্ট বিদেশি কর্মকর্তার ভিসা বাতিলের শিকার হতে পারেন। বুধবার এক বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রুবিও বলেন, “অনেক বিদেশি সরকার ও কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত নাগরিকদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মতামত প্রকাশের কারণে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছেন। এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না।” তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এই ধরনের কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে।
যদিও "সেন্সরশিপ" বলতে ঠিক কী বোঝানো হচ্ছে, তা রুবিও স্পষ্ট করেননি, তবে সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্টকে কেন্দ্র করে মতপ্রকাশে হস্তক্ষেপের অভিযোগ এনেছে ট্রাম্প প্রশাসন এবং মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো।
মেটা জানিয়েছে, ওই আইন ব্যবহারকারীদের মতামত নিয়ন্ত্রণ করছে। গত মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের যোগাযোগ পরিষদের প্রধান বলেন, এই আইন মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে।
রুবিওর মতে, নতুন এই নীতির মাধ্যমে মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ও নাগরিকদের স্বাধীনতা রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা রাখা হবে। বিদেশি কর্মকর্তাদের দ্বারা প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্মে হস্তক্ষেপকে যুক্তরাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও নাগরিক অধিকার ক্ষুণ্ণ করার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এই পদক্ষেপে বিশ্বজুড়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং ভিসানীতির উপর নতুন বিতর্ক তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


