ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বিমান হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি নিহত হয়েছেন। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ৬৩ বছর বয়সী বাঘেরি ছিলেন দেশটির সর্বোচ্চ পদমর্যাদার সেনা কর্মকর্তা এবং সামরিক নীতি নির্ধারণে মুখ্য ভূমিকা পালন করতেন।
এর আগে, ইসরায়েলি অভিযানে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (IRGC) প্রধান জেনারেল হোসেইন সালামি-এর নিহত হওয়ার খবর জানানো হয়েছিল, যিনি দীর্ঘদিন ধরে ইরানের সামরিক কৌশলের অন্যতম শীর্ষ নেতৃত্বে ছিলেন।
এএফপি'র বরাতে জানা যায়, ইসরায়েলের এই বহুমুখী হামলায় নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ৫০ জন বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে স্থানীয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ইরানের তেল মন্ত্রণালয় জানায়, হামলার পরও দেশের তেল শোধনাগার ও জ্বালানি ডিপোগুলো অক্ষত রয়েছে এবং স্বাভাবিকভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, “পরিশোধনাগার ও জ্বালানি ডিপোগুলোর কোনো ক্ষতি হয়নি এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জ্বালানি সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে।”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইরানের সামরিক শীর্ষ নেতৃত্বের ওপর ইসরায়েলের সরাসরি এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনাকে বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। সম্ভাব্য পাল্টা প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশ তাদের কূটনৈতিক মিশন এবং সেনা ঘাঁটিতে সতর্কতা জারি করেছে।
এ হামলার মাধ্যমে ইসরায়েল যে কৌশলগত বার্তা দিয়েছে, তা শুধু ইরানের জন্য নয়—গোটা অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকেই অনিশ্চিত করে তুলেছে। আন্তর্জাতিক মহলের এখন জরুরি দায়িত্ব, যেন এই সংঘাত পূর্ণমাত্রার যুদ্ধে রূপ না নেয়।


