ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে চলমান সংঘাতে উভয় পক্ষই তাদের অত্যাধুনিক অস্ত্রের ব্যবহার দেখিয়ে দিচ্ছে। ইসরাইলের 'আয়রন ডোম' ও 'ডেভিড’স স্লিং' প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করে ইরান সফলভাবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে। এই সংঘাতে ইরানের ব্যবহৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে সিজ্জিল, হোভেইজেহ ক্রুজ মিসাইল এবং হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র, যা ইসরাইলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ব্যাহত করছে।

ইরানের অস্ত্রভান্ডারে রয়েছে প্রায় ৩ হাজার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, যার মধ্যে স্বল্প, মধ্য ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র অন্তর্ভুক্ত। মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলি বিশেষভাবে কার্যকর, কারণ এগুলো র‌্যাডারে ধরা পড়লেও প্রতিহত করা কঠিন। 'অপারেশন ট্রু প্রমিজ-থ্রি'তে ইরান প্রথমবারের মতো দূরপাল্লার সিজ্জিল ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে, যা কঠিন জ্বালানির মাধ্যমে দ্রুত উৎক্ষেপণযোগ্য।

অন্যদিকে, ইসরাইল তার 'আয়রন ডোম' ব্যবস্থার মাধ্যমে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করার চেষ্টা করছে, কিন্তু ইরানের হাইপারসনিক অস্ত্রের গতি ও গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা এই প্রতিরক্ষাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইরানের ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি হাইপারসনিক প্রযুক্তি যুদ্ধের গতিপথ বদলে দিতে পারে।

এই সংঘাতে অস্ত্রের ব্যবহার শুধু সামরিক শক্তির প্রদর্শনই নয়, বরং প্রযুক্তিগত শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইও বটে। ইরানের সাফল্য আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে, বিশেষ করে কীভাবে তারা ইসরাইলের অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে অকার্যকর করছে তা নিয়ে গবেষণা চলছে। ভবিষ্যতে এই সংঘাত আরও প্রযুক্তিনির্ভর হতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

news